চলে গেলেন বাংলাদেশি চলচ্চিত্র জগতের প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব জনপ্রিয় অভিনেতা, পরিচালক, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার- এটিএম শামসুজ্জামান। সেদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত করেছে তাঁর কন্যা কোয়েল আহমেদ।
ঢাকা ট্রিবিউনে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে শুক্রবার দুপুরেই হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন তিনি। শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা নিয়ে পুরোনো ঢাকার আজগর আলি হাসপাতালে গত শুক্রবার ভর্তি করা হয়েছিল বর্ষীয়ান অভিনেতাকে। অ্যাস্থমা বা হাঁপানি রোগের দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন এই শিল্পী। তবে বৃহস্পতিবার তাঁর স্বাস্থ্য পরিস্থিতিতে উন্নতি দেখা যায়, সিটি স্ক্যানসহ অন্যসকল রিপোর্ট সন্তোষজনক হওয়ায় হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয় শামসুজ্জামানকে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। বাড়ি ফেরার পর চব্বিশ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই প্রয়াত হলেন বর্ষীয়ান চলচ্চিত্র তারকা। এটিএম শামসুজ্জামানের পুরো নাম আবু তাহের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান। অভিনয়ে অবদানের জন্য লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার সহ মোট ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন শামসুজ্জামান। আমি কে (১৯৮৭), ম্যাডাম ফুলি (১৯৯৯), চুড়িওয়ালা (২০০১), ও মন বসে না পড়ার টেবিলে (২০০৯), চোরাবালি (২০১২)-র মতো ছবিতে তাঁর অভিনয় আজও ভুলতে পারেনি দর্শকরা। বাংলাদেশের ছবি ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর অবদানের জন্য ২০১৫ সালে শামসুজ্জামানকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান, একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া চলচ্চিত্র জগতে।