জেপি নাড্ডার পর এবার ফের একবার রাজ্যে আসতে চলেছেন বিজেপির শীর্ষ নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । আগামী ১৯ ও ২০ তারিখ রাজ্য সফর রয়েছে তাঁর। শহর কলকাতা ছাড়াও জেলাতেও কর্মসূচি রয়েছে শাহর। গত মাসেই রাজ্যে এসে বাংলায় বিজেপি ২০০-র বেশি আসন নিয়ে জিতবে বলে দাবি করে গিয়েছিলেন বিজেপির এই শীর্ষ নেতা। তারপর থেকেই বঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের আনাগোনা লেগেই রয়েছে। আর জেপি নাড্ডার সফর ঘিরে বৃহস্পতিবার রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বঙ্গ রাজনীতি। সেক্ষেত্রে ঠিক তার পরেই শাহর আবারও রাজ্য সফর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এর আগে গত মাসেও রাজ্যে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রথম দিন যান বাঁকুড়ায়। বীরসা মুণ্ডার মূর্তিতে মাল্যদান করে শুরু হয় কর্মসূচি। দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে চলে বৈঠক। তারপর দুপুরে এক আদিবাসী পরিবারে মধ্যাহ্ন ভোজন সারেন অমিত শাহ। পররে দিন সকালেই তিনি যান দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে। সেখান থেকে যান সঙ্গীতশিল্পী শ্রী অজয় চক্রবর্তীর বাড়িতে। তারপর এক মতুয়া পরিবারে মধ্যাহ্ন ভোজন সারেন অমিত শাহ। সফর শেষে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে রীতিমতো সরব হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ২০০ বেশি আসন নিয়ে জয় পাবে বলেও দাবি করেন তিনি।
এদিকে সাম্প্রতিককালে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজেপি কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। যার প্রায় সবকটি ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমনকি উত্তরকন্যা অভিযানে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর ঘটনাতেও রাজ্য রাজনীতিতে ছড়ায় ব্যপক চাঞ্চল্য। আর তারপরেই বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলা। এই ঘটনায় রীতিমতো রাজনৈতিক বাকযুদ্ধ শুরু হয়ে যায় তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে। ঘটনায় রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। রাজ্যের আইন শৃঙে্খলা নিয়ে রাজ্যেপালের থেকে রিপোর্টও তলব করে কেন্দ্র। আর তারপরেই খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলা সফরের খবর। সেক্ষেত্রে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বঙ্গ বিজয়ের লক্ষ্যে গেরুয়া শিবির যে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাচ্ছে তা তাদের একের পর এক শীর্ষ নেতার লাগাতার রাজ্যে সফর থেকেই স্পষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।