উত্তরপ্রদেশে নামবদলের হিড়িক চলছেই। এবার প্রায় দেড়শো বছরের পুরনো ফৈজাবাদ স্টেশনের নাম বদলে হল অযোধ্যা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন। এরপরই বিরোধীরা কটাক্ষ করতে শুরু করেছে। বিরক্ত ইতিহাসবিদরা। কেউ কেউ আবার স্বাগতও জানাচ্ছেন এই সিদ্ধান্তকে। এটা ঘটনা, বছরের পর বছর যাঁরা ফৈজাবাদ স্টেশনে এবং স্টেশন লাগোয়া চত্বরে কাজ করছেন, তাঁদের সমস্যা সবচেয়ে বেশি।তাঁদের প্রশ্ন, মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরেই তো অযোধ্যা স্টেশন রয়েছে। তা হলে আরও একটা অযোধ্যা স্টেশন কেন?
ফের নামবদল, ফৈজাবাদ স্টেশনের নাম হল অযোধ্যা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন
Read More-এবার প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্য ভেদে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইল CBI
ছোট ব্যবসায়ী থেকে কুলি, রিকশাচালক প্রত্যেকেই বিরক্ত। তাঁদের মতে, এতে বিভ্রান্তি বাড়বে। স্থানীয়দের তো বটেই, পর্যটকদেরও সমস্যা হচ্ছে। অযোধ্যা স্টেশনে নামার বদলে নেমে পড়ছেন ১০ কিলোমিটার দূরের অযোধ্যা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে। ইতিমধ্যেই স্টেশনের বোর্ড বদলে, বড় বড় ফেস্টুন দিয়ে নাম বদলের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সব ফেস্টুনে বড় করে রামমন্দিরের ছবিও ছাপা হয়েছে। এটা ঘটনা এলাহাবাদ, মুঘলসরাই নাম আগেই বদলেছে। উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোট আসছে। রয়েছে রামমন্দিরের হাওয়া। তাই অযোধ্যা নামের একটি স্টেশন আগে থেকে থাকলেও ইতিহাসের ফৈজাবাদ স্টেশন হয়ে গেল অযোধ্যা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন।
Read more-আজ থেকে ফের সরকারি অফিসগুলিতে চালু হচ্ছে বায়োমেট্রিক হাজিরা
বিরোধীদের কটাক্ষ, রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে এই একটি কাজ খুব মন দিয়ে করেছেন যোগী আদিত্যনাথ। তবে রাজ্যে মেরুকরণের হাওয়া জোরদার হয়েছে এই নামকরণের হাত ধরেই। সেরকমই একজনের বক্তব্য, ‘রামের নগরী অযোধ্যার সব কিছুতেই অযোধ্যা থাকা দরকার।’
ইতিহাসবিদদের আশঙ্কা, আগামীদিনেও এই প্রবণতা জারি থাকলেও দ্রুত রাজ্যের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত সব মুসলিম নামই বদলে দেওয়া হবে। আগামীদিনের ইতিহাসের ছাত্রদের জন্যও তা ভাল নয়।