ফের প্রশ্নের মুখে শহরের নিরাপত্তা। খাস কলকাতার বুকে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটল। প্রথমে ইচ্ছাকৃতভাবে ট্যাক্সি দিয়ে বাইক আরোহীকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া। তারপর আহত ওই যুবককে ট্যাক্সিতে তুলে বন্দুক দেখিয়ে টাকা ছিনতাই। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শনিবার ট্যাক্সিচালক-সহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ
জানা গিয়েছে, মহম্মদ নাদিম (২৮) নামে আক্রান্ত ওই যুবক তিলজলার বাসিন্দা। পুলিশকে নাদিম জানিয়েছেন, শুক্রবার ভোর ৫টা নাগাদ ইএম বাইপাসের চিংড়িঘাটার কাছ থেকে সায়েন্স সিটির দিকে তিনি বাইকে করে যাওয়ার সময় একটি তাঁর পথ আটকায় একটি ট্যাক্সি। ধাক্কা মেরে চলন্ত বাইক থেকে নাদিমকে ফেলে দেয় ওই দুষ্কৃতীরা। জোর করে তারা মহম্মদ নাদিমকে ট্যাক্সিতে তুলে নেয়।
নাদিমের আরও অভিযোগ, ওই ট্যাক্সিতে চালক ছাড়াও তিন জন ছিলেন। ওই তিনি জনই তাঁর পরিচিত বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন নাদিম। এর পর চলন্ত ট্যাক্সির মধ্যেই আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে ২১ হাজার টাকা লুঠ করা হয়েছে বলেও দাবি নাদিমের। টাকা লুট করার পর কসবার অ্যাক্রোপলিস মলের কাছে মহম্মদ নাদিমকে চলন্ত ট্যাক্সি থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। নাদিমকে ফেলে দিয়েই ট্যাক্সি ছুটিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীদল।
এই ঘটনায় প্রগতি ময়দান থানায় অভিযোগ করেছেন নাদিম। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তাঁর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে ওই ট্যাক্সিচালক-সহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেইসঙ্গে ওই ট্যাক্সিটিকেও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম সোহেল আলি ওরফে আমন (৩০)। সে-ই ট্যাক্সি চালাচ্ছিল। অপরজন শেখ আনসার আলি ওরফে নিয়াজ (৩৫)। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, আক্রান্ত ওই যুবকের সল্টলেকে একটি কল সেন্টার রয়েছে। সেই নিয়েই গত বেশ কয়েকদিন ধরেই মূল অভিযুক্তের সঙ্গে ঝামেলা চলছিল তাঁর। বাকি দুজনের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। এই ঘটনার পর নতুন করে শহরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।