এবার তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া সাংসদ সুনীল মণ্ডলকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমনকী তাঁর গাড়ির বনেটের উপরেও হামলা চালানো হয় বলেও অভিযোগ। বাধা দিতে গেলে শাসকদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
তৃণমূল–বিজেপি দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। যার জেরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। শুভেন্দু–সহ তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা ৪৩ জনকে সংবর্ধনা দেওয়ার কর্মসূচি আছে বিজেপির। তাই সাংসদ সুনীল মণ্ডলের গাড়ি যখন বিজেপি অফিস চত্বরে এসে পৌঁছায়, তখন সুনীলকে বাধা দেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।
অভিযোগ, সাংসদ আসতেই তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। ঝান্ডা দিয়ে গাড়ির বনেটে মারা হয়। সুনীল মণ্ডলকে কোনওরকমে বিজেপি কর্মীরা পার্টি অফিসের ভিতরে নিয়ে যায়। এরপর বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তৃণমূল কর্মীদের। উত্তেজনা চরমে পৌঁছয়। সুনীল মণ্ডলকেও তৃণমূল কর্মীরা ধাক্কা দেয় বলে অভিযোগ। বিজেপি’র হেস্টিংস পার্টি অফিসের সামনে তৃণমূল অস্থায়ী মঞ্চ করে কৃষি আইনের প্রতিবাদে পথসভা করছে। তার ফলে আবারও অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গোটা হেস্টিংস মোড় ছয়লাপ তৃণমূলের পতাকায়। এমনকী বিজেপি অফিসের একেবারে সামনে মাইকও বেঁধেছে তৃণমূল। যাতে তারস্বরে মা–মাটি–মানুষের গান বাজছে। বিজেপি কর্মীরাও পাল্টা জমায়েত করেছে অফিসের সামনে। বৈঠকের আগেই দু’পক্ষের বচসাকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে উত্তেজনা। এই বিষয়ে অর্জুন সিং বলেন, ‘ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। এর থেকে বড় নোংরামি আর হয় না। কোনও রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ের সামনে এসব কী করে হয়? পুলিশ দলদাস হয়ে বসে আসে। মানুষের সময় খারাপ হলে বিবেক নষ্ট হয়ে যায়। এরপর মুখ্যমন্ত্রী কালীঘাটের বাড়িতে ঢুকতে পারবে তো।’