ফের বিদেশ সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সদ্য তিনি ইউক্রেন সফরে গিয়েছিলেন। এবার তিনি যাচ্ছেন সিঙ্গাপুর। আসিয়ান তালিকাভুক্ত দেশের মধ্যে পড়ে সিঙ্গাপুর। মৈত্রীর সেতুবন্ধনে এবার মোদি যাচ্ছেন ব্রুনেই ও সিঙ্গাপুরে। ব্যবসায়িক ও কূটনৈতিক দিক থেকে এই সফর বেশ উল্লেখযোগ্য। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটা অংশ। ব্রুনেই তেলের জন্য পরিচিত। সেখানে ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হতে পারে। সেই কথা মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এছাড়াও আশিয়ান গোষ্ঠীর মধ্যে চিনের প্রভাব যথেষ্ট রয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় চিনের যথেষ্ট কর্তৃত্ব রয়েছে। সেখানে নতুন করে ভারতও কি সম্পর্কের ভিত আরও মজবুত করতে চাইছে? সিঙ্গাপুরের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক যথেষ্ট মসৃণ। আর সেই সিঙ্গাপুরের সঙ্গেই ভারতের বেশ কিছু চুক্তি হতে চলেছে। সেই দিকেই আপাতত জল মাপছে সাউথ ব্লক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিন দিনের সফরে ব্রুনেই ও সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন। সিঙ্গাপুরের নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন লরেন্স ওয়াং। সেই দেশের প্রেসিডেন্ট ভারতীয় বংশদ্ভূত শন্মুগরত্নম। তাদের দুজনের সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। এই কথা নয়াদিল্লির তরফ থেকে জানা গিয়েছে।
সেই দেশের প্রথিতযশা ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন নরেন্দ্র মোদি। ব্যবসায়িক সম্পর্ক দৃঢ় করতে এই বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে, তা বলার অবকাশ রাখে না। ডিজিটাল প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে দুই দেশের মধ্যে। ব্রুনেইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বর্তমানে ওই দেশে ১৪ হাজারের বেশি ভারতীয় বাস করছে। সেই দেশের চিকিৎসক ও শিক্ষকদের অনেকেই ভারতীয়। সেই দেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য, শক্তি, মহাকাশ গবেষণা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। ভারত ব্রুনেইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে বদ্ধপরিকর। এমনই মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলবারই দুই দেশের জন্য উড়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এশিয়া মহাদেশের একটা অংশে চিনের প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে। সেখানে ভারতও সম্পর্কের উদারতা দেখাতে চাইছে অন্যান্য দেশের সঙ্গে।