ড্রাইভিং লাইসেন্স বানানোর ক্ষেত্রে বড় খবর। ড্রাইভিং লাইসেন্স বানানোর নিয়মে বেশ কিছু রদবদল করা হয়েছে। নয়া নিয়ম অনুযায়ী এবার থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স বানানোর ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ট্রান্সপোর্ট অফিস (RTO) অফিসে বারবার যাওয়ার আর প্রয়োজন হবে না।
কেন্দ্রীয় সরকার ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরির ক্ষেত্রে নিয়মে রদবদল করে দিয়েছে। এই প্রতিবেদনে নয়া এই নিয়মের বিষয়ে আরও বিস্তারিত ভাবে জানানো হবে।সরকার মনে করছে ড্রাইভিং লাইসেন্স বানানোর নিয়মে রদবদলের ফলে সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে।
বড় খবর! ড্রাইভিং লাইসেন্স বানানোর ক্ষেত্রে কোনও পরীক্ষা ছাড়াই তৈরি হয়ে যাবে DL, এক নজরে বিস্তারিত-
Read More-বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হচ্ছে গভীর নিম্নচাপ, মঙ্গলবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে
ড্রাইভিং লাইসেন্স বানানোর প্রক্রিয়াতে বেশ কিছু সংশোধনও আনা হয়েছে। নয়া এই নিয়ম মোতাবেক, এখন থেকে লাইসেন্স বানানোর ক্ষেত্রে কোনও পরীক্ষা কিংবা টেস্ট RTO তে গিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কেন্দ্রীয় সড়ক এবং পরিবহণ মন্ত্রক নয়া এই নিয়মের বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে আরও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
নয়া এই নিয়ম চলতি মাস থেকে কার্যকর হয়ে গিয়েছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করাটা ছিল একটা কঠিন কাজ। দিনের পর দিন আরটিও অফিসগুলিতে দাঁড়িয়ে থাকতে হত। এরউপর ছিল দালাল রাজ। তাঁদের না ধরলে নাকি লাইসেন্স হবেই না। তবে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
স্থানীয় RTO অফিসের ওয়েটিং লিস্টে নাম থাকলে সেখানে আর নতুন করে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। এমনই জানানো হয়েছে মন্ত্রকের তরফে। শুধু তাই নয়, স্থানীয় যে কোনও মান্যতাপ্রাপ্ত ড্রাইভিং ট্রেনিং স্কুলে গিয়ে নতুন করে নাম রেজিস্টার করার কথা বলা হয়েছে।
নয়া নিয়ম অনুযায়ী ওই ড্রাইভিং স্কুলে গাড়ি চালানোর জন্যে আবেদন করতে হবে। এবং শুধু তাই নয়, সেখানে টেস্ট দিতে হবে। ড্রাইভিং স্কুলের তরফে আবেদনকারীকে একটি সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। ওই সার্টিফিকেটের মধ্যে দিয়ে ওই আবেদনকারীর ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি হয়ে যাবে।
নিয়ম কি বলছে?
ট্রেনিং স্কুলগুলিকে সড়ক এবং পরিবহন মন্ত্রকের তরফে কিছু নির্দিষ্ট করে গাইডলাইন বেঁধে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, বেশ কিছু শর্তও দেওয়া হয়েছে। যেখানে কীভাবে ট্রেনিং সেন্টারগুলিকে চালাতে হবে। লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে শর্ত কি এমন বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। এক নজরে সেই বিষয়ে আরও বিস্তারিত-
স্কুলগুলিকে নিশ্চিত করতে হবে টু-হুইলার, থ্রি হুইলার, হালকা মোটরের গাড়ির ট্রেনিং করানোর ক্ষেত্রে স্কুলের কাছে নুন্যতম এক একর জমি থাকতে হবে। যাত্রীবাহি গাড়ি, লরি কিংবা ট্রেলারের ক্ষেত্রে ট্রেনিং দেওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট স্কুলের কাছে দুইে কর জমি থাকাটা বাধ্যতামূলক।
ট্রেনারকে নুন্যতম ১২ শ্রেণি পাশ কিংবা সম কোনও পরীক্ষাতে পাশ থাকাটা বাধ্যতামূলক। শুধু তাই নয়, নুন্যতম পাঁচ বছরের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকাটা খুব প্রয়োজনীয়। পাশাপাশি রাস্তায় গাড়ি চালানোর সমস্ত অভিজ্ঞতা থাকাটা খুব প্রয়োজনীয়।
ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্যে মন্ত্রকের তরফে একটা শিক্ষা পাঠক্রম নির্দিষ্ট করা হয়েছে। অর্থাত্ একদিকে থিউরিক্যাল ভাবে পড়াশুনা হবে অন্যদিকে প্রেকটিক্যাল ভাবে অর্থাত্ হাতেকলমে গাড়ি চালানো শেখানো হবে। এতে গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে সবরকম ধারণা থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।