রানাঘাট: ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই বাংলার রাজনীতি নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে। একুশে তৃণমূল বিজেপির মুখোমুখি লড়াইয়ে সরগরম পরিস্থিতি। দফায় দফায় বিজেপির কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃত্বরা সভা করে যাচ্ছেন বাংলায়। সম্প্রতি বাংলায় এসেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। চলতি মাসের শেষে অমিত শাহের আরও একবার বাংলা সফরের কথা রয়েছে।
বসে নেই ঘাসফুল শিবিরও। পূর্ণশক্তি নিয়ে ময়দানে নেমে পড়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নদিয়ার রানাঘাটে হাবিবপুরের ছাতিমতলায় বিশাল জনসভা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো। তৃণমূলের কাছে বরাবরই নদীয়া গুরুত্বপূর্ণ জেলা। বিগত কয়েকটি নির্বাচনে তৃণমূলের ফলাফলও ভালো ছিল না। গত লোকসভা ভোটের নিরিখে রানাঘাট কেন্দ্রের মধ্যে থাকা ৬টি বিধানসভাতেই এগিয়ে বিজেপি।
এদিন রানাঘাটের সভা মঞ্চ থেকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই গেরুয়া শিবির আক্রমন করেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর আক্রমণের নিশানাতে ছিল কাস্তে-হাত শিবিরের দিকেও। লক্ষ্য, দলের ভিতরে ‘আদি-নব্য’ দ্বন্দ্ব মিটানো ও জেলা জুড়ে থাকা মতুয়া সম্প্রদায়ের মন জয়ের চেষ্টা। রাজ্যের একের পর এক ইস্যুতে গেরুয়া শিবিরকে জবাব দেন। পাশাপাশি বিজেপির সোনার বাংলা গড়ার প্রতিশ্রুতিকেও কটাক্ষ করেন। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গ সোনার বাংলাই অনেকই আগেই হয়ে গিয়েছে , এখন পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ব বাংলা হচ্ছে।
উদ্বাস্তু প্রসঙ্গেও মুখ্যমন্ত্রী এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। রাজ্য সরকার উদ্বাস্তুদের জন্য কি কি করেছে তা তুলে ধরেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “উদ্বাস্তুরা যে যেখানে যেমনভাবে আছেন, সে সেখানে তেমন ভাবেই পাট্টা পাবেন। ৯৬টি কলোনি পাট্টা পেয়ে গিয়েছে। ২১৩টি রিফিউজি কলোনি ১.৫ লক্ষ পরিবারকে পাট্টা দেওয়া হবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” পাশাপাশি বিজেপিকে ফের একবার ‘বহিরাগত’ বলে আক্রমণ করেন। এমনকি কেন্দ্রীয় সরকারের সবকিছু বেচে দেওয়ার মনোবৃত্তি নিয়েও সরব হন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বন্দুকের সামনে মাথা দেবো তবু বাংলাকে বেচতে দেবো না।”