জল থৈ-থৈ কলকাতা। এর মধ্যেই শহরের সব লকগেট বন্ধ করে দেওয়া হল। টানা বৃষ্টি ও পূর্ণিমার জেরে গঙ্গার জলস্তর বেড়েছে। এসেছে জোয়ারও। ফলে শহরে যাতে গঙ্গার জল ঢুকতে না পারে তার জন্যই লকগেটগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে কলকাতা পুরনিগমের তরফে জানানো হয়।
বন্ধ কলকাতার সব লকগেট, বাড়ছে গঙ্গার জলস্তর, দুর্ভোগের আশঙ্কা
Read More-Punjab CM: পাঞ্জাবের নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন চরণজিত্ সিং চান্নি
এর জেরে কলকাতাবাসীর জমা জলের যন্ত্রণা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা। কারণ, একদিকে বৃষ্টি হয়ে চলেছে। বাড়ছে জমা জলের পরিমাণ। কিন্তু লকগেট বন্ধ থাকায় তা বেরিয়ে যেতে পারবে না। বিকেল ৩টে পর্যন্ত কলকাতার সব লকগেট বন্ধ থাকবে। তারপর শহরের জমা জল পাম্পের মাধ্যেম দ্রুত বের করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কলকাতা পুরনিগম।
Read More-আগামী রবিবার আসছে আরেকটি শক্তিশালী নিম্নচাপ, দক্ষিণবঙ্গজুড়ে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা
নিকাশি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত তারক সিং জানিয়েছেন, জোয়ারের কারণে দুপুর তিনটে পর্যন্ত লকগেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনটের পর ফের লকগেট খুলে দেওয়া হবে। এই সময়ের ভারী বৃষ্টি হলে কলকাতায় জল আরও বেশি জমবে বলেই আশঙ্কা।
Read More-ঘূর্ণাবর্তের জেরে প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতা-সহ একাধিক জেলা, চলবে বিক্ষিপ্ত বর্ষণ
পরিস্থিতি আরও ঘোরাল করে তুলতে পারে গঙ্গার জলস্তর। একটা নাগাদ গঙ্গার জলস্তর হবে ৫.৫৮ মিটার। সোমবার সকাল ৮টা ১১ মিনিটে শুরু হয়েছে ভাটা। জলের সর্বোচ্চ উচ্চতা ছিল প্রায় আড়াই মিটার। সকাল ১০টার পর থেকে ফের জলের উচ্চতা বাড়তে শুরু করেছে। বেলা ১২টা ৫৯ মিনিটে সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছয়। জলের সর্বোচ্চ উচ্চতা সাড়ে পাঁচ মিটারের বেশি। এর মধ্যে ফের শুরু হয়েছে বৃষ্টি। ফলে শহরবাসীর দুর্ভোগ বাড়ল বৈ কমল না।
রবিবার রাত টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতা। শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র জল জমেছে। নাকাল মানুষ। উত্তর ও মধ্য কলকাতার শ্যামবাজার, আমহার্স্ট স্ট্রিট, ঠনঠনিয়া, রামমন্দির, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, চাঁদনি, পার্ক স্ট্রিট কার্যত নদীতে পরিণত হয়েছে। জলের তলায় দক্ষিণের লেক গার্ডেন্স, বালিগঞ্জ, যোধপুর পার্ক, সার্দান অ্যাভিনিউ সহ বিস্তীর্ণ এলাকা।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় দফায় দফায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও। পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ফের একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। সেই ঘূর্ণাবর্তটি উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ধীরে ধীরে ঢুকবে। ঘূর্ণাবর্তটির প্রভাব ওড়িশার উত্তরে ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে বেশি থাকবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। ঘূর্ণাবর্তের জেরেই রাজ্যজুড়ে চলছে বৃষ্টি।