মূল্যবান বিষ্ণুমূর্তি পাচার করার চেষ্টা করা হচ্ছিল নেপালে। তবে পাচারকারীদের ছক বানচাল করে দিল পুলিশ। মূর্তি সহ গ্রেফতার করল দুই ব্যক্তিকে। ঘটনাটি ঘটে বুধবার রাতে শিলিগুড়ির বাগডোগরা এলাকার একটি চা বাগানের। গোপন সূত্রে পুলিশ আগেই খবর পেয়েছিলো।
বহুমূল্য বিষ্ণুমূর্তি পাচারের ছক, শিলিগুড়িতে গ্রেফতার দুই যুবক
Read more-করোনার বুস্টার ডোজ নিয়েও প্রতারণা চক্র, সতর্কবার্তা কলকাতা পুলিশের
তাই পরিকল্পনা অনুযায়ী সেই চা বাগানে হানা দেয় স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ও বাগডোগরা থানার পুলিশ আধিকারিকরা। উদ্ধার করা ওই বিষ্ণু মূর্তির মূল্য প্রায় ৬ কোটি টাকার কাছাকাছি। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মোহাম্মদ ইসমাইল এবং অরুন মন্ডল নামে ২ ব্যক্তিকে ওই মূর্তির সাথে গ্রেফতার করে পুলিশ। মোহাম্মদ ইসমাইল রাজগঞ্জ থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার পদে কর্মরত।
অপরজন অনুপ হলদিবাড়ির বাসিন্দা বলে জানা যায়। তাঁরা শিলিগুড়ি থেকে এই মূর্তি চুরি করে তারপরে নেপালে পাচার করার জন্য নিয়ে যাচ্ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়। এদিন চা বাগানের কাছে বাইক আরোহী এই দুই পাচারকারীকে আটক করে পুলিশ। প্রথমে পুলিশি জেরার মুখে তাঁরা কোনো কিছু স্বীকার করেনি। তবে পরে তাদের ব্যাগের তল্লাশি চালালে বেরিয়ে আসে এই বহুমূল্য বিষ্ণুমূর্তি। ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই দুই পাচারকারীর সাথে আরও চারজন ছিল বলে জানা যায়। কিন্তু বাকি চারজনকে ধরতে পারেনি পুলিশ। এই পাচারকারী দলের সঙ্গে আরও কোনো ব্যাক্তি যুক্ত আছে কিনা সে সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখবে পুলিশ।
ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান তাঁরা। ধৃতদের বাগডোগরা থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগেও শিলিগুড়ি থেকে নেপালে পাচার করার পথেই একাদশ এবং দ্বাদশ শতকের দুর্মূল্য ছটি পাথরসহ একটি মূল্যবান পোড়ামাটির মূর্তি উদ্ধার করেছিলেন গোয়েন্দারা। উদ্ধার হওয়া মূর্তিগুলোর আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য সেই মুহূর্তে প্রায় ১১ কোটি টাকা ছিল। শিলিগুড়িগামী একটি গাড়ি দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। যদিও পুলিশের অসতর্কতায় চালকসহ ২ আরোহী চম্পট দেয় সেখান থেকে। কিন্তু পরে পুলিশ কর্তারা ওই গাড়ি থেকে শাড়ির মধ্যে জরানো বহু মূল্যবান পাথর এবং পোড়ামাটির মূর্তি উদ্ধার করেন।