‘ব়্যাগিং’ এই মুহূর্তে একটা জাতীয় রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আছে এর প্রথম সারিতে। এবার কর্তৃপক্ষ কড়া পদক্ষেপ শুরু করেছে। প্রাক্তন পড়ুয়ারা বলেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তমনা। কিন্তু সেই বিশ্ববিদ্যালয়কেই নিয়মের ঘেরাটোপে বাঁধছে কর্তৃপক্ষ, তাই সুর চড়িয়ে প্রতিবাদে নামল প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা। বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অন্দরে নাকি রাতের দিকে অবাধে যাতায়াত কমছে, এমনটাই দাবি তাদের। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই প্রতিবাদে নেমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অফিসে ঝুলিয়ে দেওয়া হল তালা। রাত ১১টার পর বন্ধ হয়ে যায় হস্টেলের দরজা। এক হস্টেল থেকে অন্য হস্টেলে কোনও দরকারি কাজেও যাওয়া যায় না। তাতেই আপত্তি একাংশের পড়ুয়ার।
গত কয়েক বছরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই হস্টেলগুলি একাংশের মানুষের কাছে যে আতঙ্ক হয়ে গিয়েছে, সেই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। মূলত, ব়্যাগিংয়ের জেরে ঘটা বেশ কয়েকটি পড়ুয়া মৃত্যু ঘটনার পরই ছড়িয়েছে এই আতঙ্ক। প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের মধ্যেই বেড়েছে ভয়। আর সেই ভয়কে কাটাতেই ‘মুক্তমনা’ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক পরিবর্তন এনেছে কর্তৃপক্ষ। জারি হয়েছে বেশ কিছু নিয়ম। যার মধ্যে এই রাত ১১টার পর অবাধে প্রবেশ বন্ধ অন্যতম। আর তাতেই ক্ষেপে গিয়েছে একাংশের পড়ুয়ারা। প্রসঙ্গত, বহু সংঘাতপূর্ণ পথ অতিক্রম করে গত বছরই নতুন উপাচার্য পেয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়।