সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এর ক্যাম্পাস থেকে একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে,র যা দুই বাংলায় ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। ছবিতে দেখা যায়, মাটিতে ভারতের জাতীয় পতাকা রাখা হয়েছে এবং তার উপর দিয়ে নির্দ্বিধায় হেঁটে চলেছেন সেখানকার ছাত্রছাত্রীরা। এই ঘটনা নিয়ে কলকাতার বিশিষ্টজনেরা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, “ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে।” অভিনেতা জীতু কমলও একটি দীর্ঘ পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, “এই রূপ তোমার, ভাবতেও পারিনি। যে দেশের সংস্কৃতি আর সৌন্দর্য আমাদের এত প্রভাবিত করে, সেই দেশ কীভাবে এমন অসম্মানজনক কাজ করতে পারে!”
জীতু তার পোস্টে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের প্রতি তার ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, “আজও তোমার কক্সবাজার আর শাপলা বন আমাকে মুগ্ধ করে। কিন্তু এমন কাজ মেনে নেওয়া যায় না।” তিনি বাংলাদেশিদের সচেতন হতে এবং নোংরা রাজনীতির ফাঁদে না পা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে সংখ্যালঘু নির্যাতন ও সাম্প্রদায়িক হিংসা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের জাতীয় পতাকার এহেন অসম্মান দুই দেশের সম্পর্কের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।এপার বাংলার মানুষ এই ঘটনার কড়া নিন্দা করছেন এবং দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ রাখতে বাংলাদেশ সরকারের কাছে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছেন।