বামেদের নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি ডোরিনা ক্রসিংয়ে। কার্যত রণক্ষেত্র এলাকা। মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে মাইকিং করা হয়, তার পরে ছোড়া হয় জলকামান। অভিযোগ, আন্দোলনকারীদের তরফ থেকে পাথর ছোড় শুরু হলে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে। একাধিক বাম ছাত্র-যুবক জখম হয়েছেন। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসও। জানা গেছে, এদিন ডোরিনা ক্রসিংয়ে বাম ছাত্র-যুবদের মিছিল পৌঁছলে তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। আগে থেকেই দেওয়া ছিল গার্ডরেল। তা ভেঙে মিছিল এগোতে থাকলেই শুরু হয় উত্তেজনা। মিছিল থেকে পুলিশের উদ্দেশে ফুটবল, কমলালেবু ইট ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। গোটা এসএন ব্যানার্জী রোড যেন যুদ্ধক্ষেত্রের চেহারা নেয়। পুলিশ ও ব়্যাফ থিকথিক করতে থাকে চতুর্দিকে। বহু বাম যুবকর্মীরা রাস্তায় শুয়ে পড়েন। অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অনেককে। আজ সকালে নির্ধারিত সময়ের অনেকটা আগেই নবান্নের গেটে পৌঁছে গেছিলেন কয়েক জন ডিওয়াইএফআই কর্মী। টোটো করে তাঁরা পৌঁছে যান সেখানে। স্লোগান দিতে থাকেন। পতাকা নিয়ে তাঁরা নবান্নে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ চলে। তারপর পুলিশ এসে গ্রেফতার করে তিন জন বাম যুব কর্মীকে। এর পরে আবার দ্বিতীয় দফায় কয়েক জন পৌঁছলে ফের গ্রেফতারি চালায় পুলিশ। এর পরে মূল কর্মসূচি শুরু হয় কলেজ স্ট্রিট থেকে। সেখানে থেকে মিছিল করে দশটি বাম ছাত্র-যুব সংগঠন। বামেদের বক্তব্য ছিল, পুলিশ যেখানে আটকাবে সেখানেই লড়াই হবে। ফলে দুপুরে কলকাতার রাজপথে আর একপ্রস্ত ধুন্ধুমার হতে পারে বলে অনুমান ছিল সকালেই। হলও তাই। দুপুর দুটো নাগাদ ডোরিনা ক্রসিংয়ে মিছিল পৌঁছে ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল এগোনোর চেষ্টা করে। তখনই পুলিশের সঙ্গে বাধে সংঘর্ষ।