More
    Homeঅনান্যবায়ো অয়েলে স্কিন ট্রিটমেন্ট | ত্বকের ৪ ধরনের সমস্যা থেকে পান মুক্তি

    বায়ো অয়েলে স্কিন ট্রিটমেন্ট | ত্বকের ৪ ধরনের সমস্যা থেকে পান মুক্তি

    বায়ো অয়েলে স্কিন ট্রিটমেন্ট

    ১. অ্যাকনে স্কারস

    বায়ো অয়েল ব্যবহারের পূর্বে অ্যাকনে স্কারস –

     

    অনেক সময় ত্বকে খুব পেইনফুল কিছু পিম্পল হতে দেখা যায় যা শুকিয়ে গেলেও দাগ কিন্তু থেকেই যায়। এই দাগ বেশ লম্বা সময় ধরে আপনার সাথে থাকবে। কারণ পুঁজ ভর্তি সিস্টিক অ্যাকনে আমাদের ত্বকের অনেক গভীরের লেয়ার পর্যন্ত ইনজুরি তৈরী করে। এই ইনজুরি সময়ের সাথে সাথে হিল হয়ে গেলেও আমাদের স্কিনের যে টিস্যুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তা আর নর্মাল টিস্যু দিয়ে রিপ্লেস হয় না। সেখানে চলে আসে স্কার টিস্যু। যার কারণে যেখানে একবার পিম্পলের গর্ত বা দাগ হয়ে গেছে ওই জায়গাটা স্বাভাবিক ত্বকের মত স্মুথ হয় না এবং মুখে যত যাই ব্যবহার করি না কেন আগের স্কিন টেক্সচার ফিরে পাওয়াটা কিন্তু সহজ নয়।

     

    স্কিন কেয়ার এক্সপার্টরা সাজেস্ট করেন পিম্পল স্কারের জায়গায় এমন কিছু ব্যবহার করতে যা স্কিন সেলস রিজেনারেট করতে সক্ষম। তাই আপনার ফার্স্ট চয়েজ হিসেবে আপনি বায়ো অয়েল বেছে নিতে পারেন। এতে আছে ভিটামিন এ (রেটিনাইল পালমিটেট) যা আমাদের ন্যাচেরাল স্কিন রিজেনারেশন ক্যাপাসিটিকে বুস্ট আপ করে।

     

    ২. ডার্ক প্যাচেস

    বায়ো অয়েল ব্যবহারের পূর্বে ডার্ক প্যাচেস –

     

    হাতের কনুই, হাটু, গোড়ালিতে কালচে দাগ কমন একটা ইস্যু। হয়ত বারবার ঘষার ফলে অথবা পুরনো মৃত কোষের একটা পরত জমে গিয়ে আমাদের নরমাল স্কিনটোনের চেয়ে এক বা দুই শেড ডার্কার একটা স্কিন লেয়ার দেখা যায় যাকে আমরা ডার্ক প্যাচেস বলে থাকি। এটা যদিও খুব জটিল কোন ইস্যু না তবুও এর জন্য প্রয়োজন রেগ্যুলার অ্যাটেনশন। সপ্তাহে অন্তত পক্ষে ৪ বার শাওয়ারের আগে একটা ভাল স্ক্রাব দিয়ে এক্সফোলিয়েট করে নিয়ে, শাওয়ারের পর বায়ো অয়েল ম্যাসাজ করে নিলেই কিন্তু আপনি চিন্তামুক্ত। বায়ো অয়েলে আছে ভিটামিন ই যা ড্রাই প্যাচি স্কিনকে স্মুথ করবে এবং পরবর্তী স্ক্রাবিং-এ খুব সহজেই ডেড সেলস উঠে আসবে।

     

    ৩. আনইভেন স্কিনটোন

     

     

    ঠোঁটের আশপাশ দিয়ে বা নাকের দুই পাশে একটু কালচে মনে হচ্ছে? আমাদের অনেকেরই মুখের ত্বক একেক জায়গায় একেক রকম। এটাকেই বলছি আনইভেন টোন। সাধারনত রোদে আনপ্রোটেক্টেড অবস্থায় গেলে বা আজেবাজে স্কিন হোয়াইটেনিং ক্রিম ব্যবহার করলে অথবা হরমোনাল কারণে স্কিনে আনইভেন টোন দেখা দিতে পারে। প্রতিদিন অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহারের পাশাপাশি, ঘরে ফিরে পুরো স্কিনকেয়ার রেজিম-এর শেষ ধাপ হওয়া উচিত এমন একটি ফেসিয়াল অয়েল যা স্কিন সেলগুলোর গভীরে পৌঁছে কোলাজেন প্রোডাকশনকে বুস্ট করে। স্কিনের যে স্থানগুলোতে আনইভেন টোন রয়েছে ওই স্থানগুলোতে বেশি গুরুত্ব দিয়ে ম্যাসাজ করে বায়ো অয়েল লাগিয়ে নিন। এতে করে ধীরে ধীরে স্কিনের কমপ্লেকশন ইভেন হয়ে আসবে।

     

    ৪. ফাইন লাইনস ও রিঙ্কেলস

     

     

    বয়সের সাথে সাথে ত্বকেও বলিরেখা পড়বে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই সহজ সত্যতা মেনে নিতে আমরা নারাজ। তাই তো ম্যাচ্যুরড স্কিন নিয়ে এত প্রোডাক্ট আর অ্যান্টি-এজিং নিয়ে এত রিসার্চ! রিসার্চে দেখা গেছে আমাদের বয়স ২৫ পেরুলেই আমাদের স্কিনের প্রোটিন স্ট্রাকচারগুলো দুর্বল হয়ে যেতে থাকে।

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments