বিজেপির পতাকা হাতে নিয়েই মমতাকে একহাত নিলেন শুভেন্দু অধিকারী। অমিত শাহের আগে বক্তব্য রাখতে উঠছে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর প্রথম হতে পারবেন না, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম হবে ভারতীয় জনতা পার্টি। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন আমি বিশ্বাসঘাতক নই। যদি কাউকে মা বলতে হয় বলব ভারতমাতাকেই।
শুভেন্দু বলেন, পৃথিবীর সর্ববৃহত্ পার্টিতে যোগ দিতে পেরে আমি ধন্য। যে পার্টির জাতীয়তাবোধ, দেশাত্মবোধ রয়েছে আমি আজ সেই পার্টির সদস্য। আমি যখন আক্রান্ত ছিলাম আমার দলের লোক, যাদের জন্য ২১ বছর করেছি, তাঁরা কোনও খোঁজ নেয়নি, অমিত শাহ খোঁজ নিয়েছেন। তাঁর প্রতি আমার কোটি কোটি নমস্কার।
এদিন শুভেন্দু খোলা মঞ্চে দাঁড়িয়ে অমিত শাহকে আমার বড় দাদা বলে সম্ভাষণ করেন। তাঁর বিজেপিতে যোগদানের জন্য তিনি অমিত শাহকেই কৃতিত্ব দেন। আর বলেন মুকুল রায়ের কথা। তিনি বলেন, মুকুল রায় আমাকে বলেছিলেন, আত্মসম্মান থাকলে তৃণমূলে থাকিস না। চলে আয় আমরা আত্মসম্মান নিয়ে রাজনীতি করব
শুভেন্দু বলেন, আমি কর্মী হিসেবে থাকব আপনাদের সঙ্গে। আপনাদের কারও স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করব না। আমি ছাত্ররাজনীতি থেকে উঠে এসেছি। সিঁড়ি বেয়ে পৌঁছেছি এখানে। আমাকে বিশ্বাসঘাতক বলছে, কে বলছে? ভারতরত্ন অটলজির আশীর্বাদ না হলে যিনি বাড়ি থেকে বেরোতে পারতেন না, তিনি আমাকে বলছেন বিশ্বাসঘাতক।
শুভেন্দু বলেন, ৯৯-তে আমি জয়েন করেছিলাম তৃণমূলে। তারপরই এনডিএ প্রার্থীকে জিতিয়েছিলাম। তখন যদি পারি, এখন নয় কেন? আজ আমি বলে যাচ্ছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম হতে পারবেন না, প্রথম হবে ভারতীয় জনতা পার্টি। বাংলায় জিতবে বিজেপিই। আবার পরিবর্তন আসন্ন।
আমিও চাই কলকাতা আর দিল্লিতে একই দলের সরকার থাকুক। নরেন্দ্র মোদীর হাতে বাংলা তুলে দিতে হবে। কাল থেকেই আমি নেমে পড়ব সেই কাজে। বাংলায় পরিবর্তন আনতে হবে। তবেই বাংলার মুক্তি ঘটবে। আমি যখন যে কাজ করি নিষ্ঠার সঙ্গে করি। এতদিন তৃণমূলের হয়ে বিজেপিকে নিশানা করেছে, এবার তৃণমূল দেখবে শুভেন্দুর আক্রমণ। তার একটা ছোট্ট দৃষ্টান্ত তুলে ধরলেন শুভেন্দু বললেন- তোলাবাজ ভাইপো হটাও। বন্দেমাতরম। ভারত মাতা জিন্দাবাদ, জয় হিন্দ।