More
    Homeবিনোদনবিরোধ এখন অতীত, ছবি মুক্তির আগে দেবের হয়েই গলা ফাটালেন প্রযোজক রানা...

    বিরোধ এখন অতীত, ছবি মুক্তির আগে দেবের হয়েই গলা ফাটালেন প্রযোজক রানা সরকার

    ”খাদান’ বাংলা সিনেমার শেষ ভরসা… ছবিটাকে সুপারহিট করুন…”, বিরোধ এখন অতীত, ছবি মুক্তির আগে দেবের হয়েই গলা ফাটালেন প্রযোজক রানা সরকার। সর্বসমক্ষে ‘ধন্যবাদ’ দেবের! প্রসঙ্গত, ২০১৬ সাল থেকেই ধূমকেতু ছবির মুক্তি নিয়ে টালবাহানা হয়েই চলছে। এই ছবিকে ঘিরে প্রযোজক এবং অভিনেতার মধ্যে অম্লমধুর সম্পর্ক কারওই অজানা নয়। জানা গিয়েছিল, সিনেমার দুই প্রযোজক রানা ও দেবের মধ্যে মত পার্থক্যের কারণেই বারংবার পিছিয়েছে ছবি মুক্তির তারিখ। অন্যদিকে দেব-শুভশ্রীর জুটিকেও পর্দায় দেখবার জন্য দর্শকরা মুখিয়ে থাকলেও তা ব্যর্থ হয়েছেই বলা চলে। সব মিলিয়ে এই পুরো বিষয়টিকে কিছুটা বাঁকা চোখেই দেখেছেন অনুরাগীরা। ছবি নিয়ে একাধিকবার অনুরাগীদের হতাশ করায় ধেয়ে এসেছে বিরূপ মন্তব্যও। তবে কি দুই প্রযোজকের মধ্যেকার অভিমানের বরফ কি গলল? দেব এবং রানা সরকারের সমাজমাধ্যমের পাতা কিছুটা ইঙ্গিত দিচ্ছে এমনই। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই মুক্তি পেতে চলেছে দেবের ‘খাদান’। মাস বাংলা ছবির তালিকায় এই ছবিটিকে ঘিরেই প্রত্যাশা রয়েছে নির্মাতাদের। আশাবাদী অনুরাগীরাও। সেই তালিকাতেই রয়েছেন রানা সরকার। মুক্তির কয়েকদিন আগেই দেবকে ফেসবুকে শুভেচ্ছা জানালেন তিনি। লিখলেন, “খাদান’ বাংলা সিনেমার শেষ ভরসা। ‘খাদান’ সুপারহিট হতেই হবে, না হলে বাংলা ইন্ডাস্ট্রি অনেক বছর পিছিয়ে যাবে। এখন বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি শুধু কলকাতার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হয়ে গেছে। কলকাতার ২০ কিলোমিটারের বাইরে বা গঙ্গা পেরোলে আর কেউ বাংলা সিনেমা দেখে না। গ্রামের বাঙালি দর্শক আর সিনেমা হলে গিয়ে বাংলা সিনেমা দেখে না। শুনলে অবাক হয়ে যাবেন শেষ বাংলা সিনেমা যেটা বাংলার গ্রামগঞ্জের দর্শক সিনেমা হলে গিয়ে দেখেছে, সেটা ৭ বছর আগে, ‘অ্যামাজন অভিযান’। তারপর থেকে যেসব সিনেমা কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করেছে বলে আপনারা শোনেন সেগুলো সব ওই কলকাতার মাল্টিপ্লেক্স ও ২০ কিমির মধ্যে সিনেমা হলে। আর বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু দুর্গাপুর, শিলিগুড়ি, বর্ধমান ইত্যাদি জেলা সদর শহরগুলোতে।” এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও লেখেন, “বাংলার গ্রামগঞ্জের সিনেমা হলে দর্শক কিন্তু ‘কেজিএফ’, ‘জওয়ান’, ‘পাঠান’, ‘পুষ্পা’ সব দেখে, কিন্তু বাংলা সিনেমা দেখে না। গ্রামগঞ্জের দর্শক বলা ভালো দেখার মত ভালো বাংলা সিনেমা পায় না তারা। এমনকি সুপারস্টার জিতের বাংলা কমার্শিয়াল সিনেমাও দেখে না হলে গিয়ে। তাই ‘চেঙ্গিজ’, ‘রাবন’, ‘মানুষ’ ইত্যাদি সিনেমা গ্রামে চলেনি। শেষ কয়েক বছরে সুপারস্টার দেবের বহু সিনেমা সুপারহিট হয়েছে। কিন্তু সেগুলো সব শহরকেন্দ্রিক সিনেমা, গ্রামের দর্শক হলে গিয়ে দেখেনি। মেনস্ট্রিম কমার্শিয়াল সিনেমা এখন প্রায় হয় না। ‘খাদান’-এর গানগুলো সুপারহিট হয়েছে। এখন ‘খাদান’ বক্সঅফিসে সুপারহিট হওয়া মানে গ্রামগঞ্জের মানুষ হলে যাচ্ছে। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির জন্য সেটা খুব প্রয়োজনীয়। গ্রাম-শহর সর্বত্র বাংলা সিনেমাকে আবার সফল করে তুলুন যাতে মেনস্ট্রিম কমার্শিয়াল সিনেমা অনেক তৈরি করার সাহস পায় প্রযোজক। সবাই মিলে হলে গিয়ে ‘খাদান’ কে সুপারহিট করুন।” রানা সরকারের শুভেচ্ছা নজর এড়ায়নি সুপারস্টারেরও। পোস্টটি শেয়ার করে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দেব লেখেন, ‘ধন্যবাদ রানাদা’।

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments