জল্পনা তো চলছিলই। এবার সেই জল্পনাকেই সত্যি করে দিয়ে দিল্লির উদ্দেশে বিশেষ চার্টার্ড বিমানে রওনা হলেন একদা তৃণমূল ঘনিষ্ঠ অভিনেতা। শনিবার সকালেই শোনা গিয়েছিল যে, দিল্লিতে রওনা হয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বিজেপির সদর কার্যলয়ে শাহ-নাড্ডাদের উপস্থিতিতে তিনি বিজেপিতে যোগের দিতে পারেন বলে সূত্রের খবর। এবার শোনা গেল সেই একই চার্টার্ড বিমানে রয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষও।
৩১ জানুয়ারি হাওড়ায় শাহী সফরেই পদ্ম পতাকা হাতে নেওয়ার কথা ছিল রুদ্রনীল ঘোষের। সেই মতোই হয়েছিল সব পরিকল্পনা। কিন্তু, শুক্রবার দিল্লিতে আইইডি বিস্ফোরণের ঘটনাই সব এলোমেলো করে দিল। বাতিল হল অমিত শাহের সফর। যদিও ডুমুরজলার যোগদান মেলা হবে বলে জানিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। কিন্তু, শাহ না আসায় অনিশ্চিত হয়ে পড়ে অভিনেতার বিজেপিতে যোগদানের বিষয়টি। এরপরই হস্তক্ষেপ করেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শনিবার সকালে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও রুদ্রনীল ঘোষকে দিল্লিতে গিয়ে যোগদানের প্রস্তাব দেন অমিত শাহ।
দিন কয়েক আগেই রুদ্রনীলের রাজনৈতিক আদর্শগত স্থিরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁরই সহকর্মীরা। যাঁরা কিনা গত লোকসভা নির্বাচনের সময়ে পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। একসময় ছিলেন বামপন্থী মনোভাবাপন্ন। এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে রুদ্রনীল ঘোষকে দেখা গিয়েছে তৃণমূল সরকারের অ্যাডমিনিস্ট্রেশন পদে। ২০১৪ সালে পশ্চিমবঙ্গ বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ পর্ষদের সভাপতির দায়িত্বপদে বসানো হয়েছিল তাঁকে। যা আপাতত মেয়াদউত্তীর্ণ হয়েছে। এরপর ২০১৫ সালেই রাজ্য সরকারের জনপরিষেবা অধিকার কমিশনার করা হয়। সেসময়ে ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চে, ফিল্মে ফেস্টিভ্যালে তাঁকে দেখা যেত। তবে সেই তাল আপাতত কেটেছে! অভিনেতার পালাবদল নিয়ে জোর সরগরম রাজনৈতিক মহল।
ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী, শঙ্কুদেব পাণ্ডার সঙ্গে সাক্ষাত্ এবং তদুপরি সম্প্রতি নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে ভিক্টোরিয়ায় গিয়ে মোদীর সঙ্গে অভিনেতার সেলফি পোস্ট, সেই জল্পনার যজ্ঞে ঘৃতাহূতি দিয়েছে বললেও অত্যুক্তি হয় না! এবার সূত্রের খবর, দিল্লি থেকে পাঠানো বিশেষ চার্টার্ড বিমানে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গী হিসেবে রয়েছেন রুদ্রনীলও।