বীরভূম -এর রামপুরহাট -এ তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে। নিহতের নাম বাপন শেখ। তিনি বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, নিহত বাপন তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত ছিলেন। তাঁর দাদা বড়শাল পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বাবর শেখ। এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও। মঙ্গলবার রাতে বাপনকে গুলি করে খুন করা হয়েছে।
ওই সময় তিনি মোটরসাইকেলে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। তখন তাঁর পথ আটকায় দুষ্কৃতীরা। আর তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। তার শরীরে গুলি লেগেছে। এই ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, এই ঘটনায় রাজনৈতিক কোনও যোগ নেই। গ্রামের মধ্যে দুই পরিবারের বিবাদের কারণে এই খুন। এমনই জানা যাচ্ছে। গ্রামের বাইরে পুলিশ রয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। যেখানে ঘটনা হয়েছিল সেখানে মার্ক করা রয়েছে।
তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল এবং বিজিপির মধ্যে চাপানফচোর শুরু হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে যোগ রয়েছে বিজেপির। তারাই এই খুন করিয়েছে। তারা দুষ্কৃতী এনে এই কাজ করেছে। আর বিজেপির দাবি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এরকম হয়েছে। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে আটক করা হয়েছে ৪ ব্যক্তিকে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কী কারণে খুন, সে সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাণর পরিবারের সঙ্গেও কথা বলার চেষ্টা করা হচ্ছে। আগে কারও সঙ্গে কোনও গোলমাল, কোনও শত্রুতা রয়েছে কিনা, সে ব্যাপারে দেখছে পুলিশ এবং সূত্র পাওয়ার চেষ্টা করছে। অস্ত্র কোথা থেকে আনা হয়েছিল, সেগুলিও দেখা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত কিনা, তা দেখা হচ্ছে। তবে এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। তাই গ্রামের বাইরে পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে।