বেঁচে থাকতে আরও একটা পরিবর্তন দেখে যেতে চাই। নন্দীগ্রামের মাটি থেকেই তাই নতুন পরিবর্তনের ডাক দিলেন একদা নন্দীগ্রাম আন্দোলনে তৃণমূলের অন্যতম ভরসার মুখ মুকুল রায়। এ দিন নন্দীগ্রামের সভা থেকে বিজেপি নেতা বলেন, ‘বেঁচে থাকতে দুনিয়ার শেষ পরিবর্তনটা দেখে যেতে চাই।’
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি-তে যোগদানের পর এ দিন নন্দীগ্রামে প্রথম সভা ডাকেন। সভায় হাজির ছিলেন মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুকুল বলেন, ‘নন্দীগ্রাম আন্দোলনে শুভেন্দুর নেতৃত্বের কথা অস্বীকার করলে তা সত্যের অপলাপ হবে।’
বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুকুল রায় আরও বলেন, ‘আমি নন্দীগ্রামের মাটিতে অনেকবার এসেছি। নন্দীগ্রামটা চিনি, এখানকার মানুষ কী চায় জানি। অনেক ঘটনার সাক্ষী থেকেছি।’ এর পরেই সিঙ্গুর আন্দোলনের সঙ্গে নন্দীগ্রামের তুলনাও টানেন মুকুল। যদিও তিনি বলেন, সিঙ্গুরের সঙ্গে নন্দীগ্রামের পার্থক্য আছে। মুকুল দাবি করেন, নন্দীগ্রামে মানুষের জমি, ঘর, বাড়ি সবকিছু কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল তত্কালীন বাম সরকার। সেই লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেওয়া থেকে শুরু করে পরবর্তী সময়ে শহিদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও শুভেন্দু যোগাযোগ রেখেছেন দাবি করেন মুকুল। তাঁর দাবি, এবারেও ফের পরিবর্তনের হাওয়া উঠেছে রাজ্যে।
এই প্রসঙ্গেই মুকুল বলেন, ‘পরিবর্তনের হাওয়া উঠছে। সেই হাওয়ায় সবার সামিল হতে হবে। আমি আমার জীবনে দুনিয়ার শেষ পরিবর্তন দেখে যেতে চাই। ২০০৯ সালে প্রথম পরিবর্তন দেখেছিলাম। এবারও আরও একটা পরিবর্তন দেখতে চাই। সিঙ্গুরের মাটি পবিত্র মাটি। এই মাটি থেকেই পরিবর্তনের বাজনা বাজাতে হবে।’