More
    Homeআন্তর্জাতিকভারতের সঙ্গে ফের যাত্রীবাহী অসামরিক বিমান সংযোগের আর্জি জানালো আফগানিস্তানের তালিবান সরকার

    ভারতের সঙ্গে ফের যাত্রীবাহী অসামরিক বিমান সংযোগের আর্জি জানালো আফগানিস্তানের তালিবান সরকার

    ভারতের সঙ্গে ফের যাত্রীবাহী অসামরিক বিমান সংযোগের আর্জি জানালো আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। ইতিমধ্যেই পুররায় আকাশ পথে সংযোগের আবেদন জানিয়ে এ দেশের অসামরিক বিমান পরিবহনের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজিসিএ) অরুন কুমারকে চিঠি দিয়েছেন তালিবান সরকারের অসামরিক বিমান পরিবহন দফতরেরর ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী আলহাজ হামিদুল্লাহ আখুনজাদা। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের কাছে এই চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিজিসিএ অরুণ কুমার। তালিবান সরকারের অনুরোধের বিষয়টি নীতিগত সিদ্ধান্ত হওয়ায় তা কেন্দ্রীয় সরকার চূড়ান্ত করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।ভারত এখনও তালিবান সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। তাই তালিবান সরকারের আর্জি নয়াদিল্লি মানবে কিনা সেদিকে নজর থাকবে।

    ভারতের সঙ্গে ফের যাত্রীবাহী অসামরিক বিমান সংযোগের আর্জি জানালো আফগানিস্তানের তালিবান সরকার

    Read More-‘কাজের অধিকার থেকে জীবনের মূল্য বেশি’, বাজি তৈরির উপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট

    ১৫ অগস্ট কাবুলের দখল নেয় তালিবান। এরপর ১৬ তারিখ থেকেই আফগানিস্তানের অবস্থা ‘অনিয়ন্ত্রিত’ বলে জানিয়েছিল নয়াদিল্লি। সেই থেকেই আফগানিস্তানে অসামরিক বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। তবে, কাতারের সাহায্যে কাবুল সহ বেশ কয়েকটি আফগান বিমানবন্দর সেই সময় থেকে চালু রেখেছে তালিবানরা। বর্তমানে আফগানিস্তানের সঙ্গে উড়ান সংযোগ বজায় রয়েছে পাকিস্তান ও ইরানের।

    চলতি মাসের ৭ তারিখ ডিজিসিএ প্রধানকে লেখা চিঠিতে তালিবান সরকারের অসামরিক বিমান পরিবহন দফতরেরর ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী আলহাজ হামিদুল্লাহ আখুনজাদা জানিয়েছেন যে, ‘দুই দেশের মধ্যে মসৃনভাবে অসামরিক বিমান চলাচলের জন্য মৌ সাক্ষরিত হয়েছিল। এর প্রেক্ষিতেই আমরা আবারও জাতীয় ক্যারিয়ার (আরিয়ানা আফগান এয়ারলাইন এবং কাম এয়ার) পরিষেবা চালু করতে আগ্রহী। আফগান আসমারিক বিমান দফতরের তরফে ভারতকে ফের যাত্রীবাহী অসামরিক উড়ান চালুর ছাড়পত্রের জন্য আবেদন জানাচ্ছি।’

    এছাড়াও ওই চিঠিতে উল্লেখ, ‘মার্কিন সৈনা দেশ ছাড়ার আগে কাবুল বিমানবন্দরটিকে ক্ষতিগ্রস্ত এবং বিমান পরিবহনের অযোগ্য করে দিয়ে গিয়েছিলো। কাতারের প্রযুক্তিগত সহায়তায়, ফের কাবুল বিমানবন্দরটি চালু করা হয়েছে এবং ৬ সেপ্টেম্বর NOTAM বা এয়ারম্যানকে নোটিস জারি করা হয়েছে।’ মন্ত্রী আলহাজ হামিদুল্লাহ আখুনজাদার দাবি, এর ফলে এখন আর দু’দেশের মধ্যে অসামরিক বিমান পরিষেবা চালুতে কোনও বাধা নেই।

    উল্লেখ্য, তালিবান কাবুল দখলের পর মার্কিন সেনা সহায়তায় কাবুল বিমান বন্দরের মাধ্যমে সেদেশ থেকে ভারত সহ অন্যান্য় দেশ, নিজেদের নাগরিকদের আফগানিস্তান থেকে ফিরিয়ে আনতে পেরেছিল।

    ফের তালিবান আফগানিস্তান দখলের আগে এয়ার ইন্ডিয়া ও স্পাইজ জেটের যাত্রীবাহী উড়ান দিল্লি-কাবুল চলাচল করত। কিন্তু, ১৫ অগস্টের পর এয়ার ইন্ডিয়ার সব বিমান সেদেশে যাতায়াত বন্ধ রেখেছে। এছাড়া, করোনা মহামারী থেকে কাবুলের সব উড়ান বাতিল করেছে স্পাইস জেট। তবে, করোনা আবহে মাঝেমধ্যে রোগী, পড়ুয়া, বাণিজ্যিক কারণে দুই দেশের মধ্যে কয়েকটি বিমান চলেছিল।

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments