জোড়া খুন করে কোনও গোপন ডেরা নয়, গা ঢাকা দেওয়ার জন্য শহরের ফুটপাথকে বেছে নিয়েছিল অভিযুক্ত! খোলা আকাশের নীচে ভিখারির ছদ্মবেশ ধরেও লাভের লাভ কিছু হল না। ভাঙড়ে জোড়া খুনের ‘মাস্টার মাইন্ড’ নেপ্তাউদ্দিন খানকে ফুটপাথ থেকেই গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনার ৬ দিনের মাথায় খুনের কিনারা করল পুলিশ। শনিবার টালা থেকে ধরা পড়ল এই সাট্টা কারবারি মূল অভিযুক্ত। এদিন ধৃতকে আদালতে তোলা হলে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ধৃতকে জেরা করে কীভাবে এই দু’টে খুন করল, তা জানার চেষ্টা করবেন তদন্তকারীরা।
ভাঙড়ে ঘটনার সূত্রপাত ঘটে গত ২৬ জুন। অভিযোগ উঠেছে, সাট্টায় জিতেছিল নেপ্তাউদ্দিনের শ্যালক লালটু মোল্লা। সেই টাকা পাওযার জন্য নেপ্তাউদ্দিনকে তাগাদা দিচ্ছিল সে। তখনই শ্যালককে খুন করার ছক কষে ফেলে নেপ্তাউদ্দিন। টাকা দেওয়ার আছিলায় লালটুকে নিজের ঘরে ডেকে পাঠায় ওই অভিযুক্ত। অভিযোগ উঠে, লাল্টু টাকা নিতে এলে, তাঁকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে নেপ্তাউদ্দিন। ঘটনার সময় কাকাকে খুন করতে দেখে ফেলে তার ভাইপো রবিউল ইসলাম। খুনের কোনও সাক্ষী রাখতে চায়নি সে। ভাইপো রবিউলকেও খুন করার অভিযোগ উঠেছে নেপ্তাউদ্দিনের বিরুদ্ধে। তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে আহত হন আরও কয়েকজন। তবে কীভাবে নেপ্তাউদ্দিনের ঘর লন্ডভন্ড হল, ঠিক কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।ঘটনার পর মহিলাদের পোষাক পরে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় নেপ্তাউদ্দিন। যাতে তার টাওয়ার লোকেশন পুলিশ ট্র্যাক না করতে পারে, সেজন্য মোবাইল ফোন সঙ্গে নিয়ে যায়নি সে। ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথমেই সমস্যার মুখে পড়তে হয় ভাঙড়ের কাশীপুর থানার পুলিশকে। কারণ, ফোন না নেওয়ার কারণে অভিযুক্ত কোথায় পালিয়েছে, তার খোঁজ করতে গিয়ে বেগ পেতে হয় পুলিশকে। তবে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যেতে থাকে পুলিশ।ইতিমধ্যেই গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পায় যে, ভাঙড় থেকে পালিয়ে টালা এলাকার একটি ফুটপাথে কদিন ধরে বসছে নেপ্তাউদ্দিন। সেখানে ঠাঁই পাওয়ার বিষয় জানতে পেরে সেখান হানা দিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।