অবশেষে করোনার শেষের শুরু হল। অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও শুরু হল জনসাধারণের জন্য করোনা টিকাদান প্রকল্প।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৩০০৬ সেন্টারে টিকা দেওয়া হবে সব রাজ্য মিলিয়ে। মোট তিন লাখ মানুষ প্রথম দিন টিকা নেবেন। আসমুদ্রহিমাচল, সব স্থানে যেসব জায়গায় টিকা দেওয়া হবে, সেখানে আজ সাজো সাজো ভাব। প্রাথমিক ভাবে তিন কোটি স্বাস্থ্যকর্মী ও ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের টিকা দেওয়া হবে। তারপরের ধাপে ২৭ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে যাদের বয়স ৫০-এর বেশি বা যাদের শরীরে বড় কোনও অসুখ আছে।
সেন্টার পিছু ১০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে প্রাথমিক ভাবে। যাতে গুলিয়ে না যায়, সেই কারণে প্রতিটি সেন্টারে একটি ব্র্যান্ডের টিকা পাঠানো হয়েছে। কারণ দুটি ডোজই একই সংস্থার টিকার দিতে হবে। ভারত এখনও পর্যন্ত দুটি টিকাকে ছাড়পত্র দিয়েছে। সেগুলি হল সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন। প্রতিটি সেন্টারে একনয় গিয়েছে কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন। সেন্টারের সংখ্যা প্রয়োজনে বাড়াতে পারে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন।
শুক্রবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কোভিড কন্ট্রোল রুমে গিয়েছিলেন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি দেখার জন্য। মূলত CoWIN app ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা, সেটাই রিভিউ করা হয়েছে। এই অ্যাপটির মাধ্যমেই পুরো প্রক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রিত হবে। কোথায় কতটা ভ্যাকসিন স্টক আছে থেকে শুরু করে, কত তাপমাত্রায় স্টোর হচ্ছে ভ্যাকসিন, যারা টিকা পাচ্ছেন তাদের ট্র্যাকিং, সবই হবে এই অ্যাপের মাধ্যমে। এছাড়াও কত লোক টিকা পেলেন, ড্রপ আউট, পরিকল্পিত সেশন বনাম বাস্তবে কটি হয়েছে ও কতটা পরিমাণ টিকা ব্যবহৃত হয়েছে, সবই জানা যাবে এই অ্যাপের মাধ্যমে।
যারা টিকা পাচ্ছেন তাদের লিঙ্গ, বয়স ও কোমর্বিডিটি অনুযায়ী বিভাজনও পাওয়া যাবে এই অ্যাপের মাধ্যমে। একই সঙ্গে প্রতিটি জেলা থেকে যদি কোনও প্রতিকুল ঘটনার খবর মেলে, সেটাও ট্র্যাক করবে এই অ্যাপ।