ভুয়ো পরিচয় দিয়ে একাধিক মহিলাকে বিয়ে করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক যুবককে। কখনও সেনা , কখনও ডাক্তার আবার কখনও অন্য কোনো পেশার পরিচয় দিয়ে ফেসবুকে বিভিন্ন মহিলাকে প্রতারণা করায় এই যুবকের কাজ বলে জানা যায়। একের পর এক মেয়েদেরকে বিয়ে করে তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে চম্পট দেয় এই যুবক।
অবশেষে তাঁর তৃতীয় স্ত্রী ফেসবুকে ফেক একাউন্ট খুলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় এই যুবককে।
অভিযুক্ত দীপক শর্মা অসমের বাসিন্দা বলে জানা যায়। পুলিশ সূত্রে খবর সে ফেসবুকের মাধ্যমেই ফাঁদ পেতে বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারপর তাদেরকে অবিবাহিত বলে পরিচয় দেয় সে। তাদেরকে বিয়ে করার পর টাকা দাবি করে এবং টাকা নিয়ে পালাতক হয় ওই যুবক। জানা যায় অসমে ওই যুবককে নিজস্ব স্ত্রী এবং ছেলে মেয়ে রয়েছে। এই কথা গোপন করে দিনের পর দিন এইভাবে প্রতারণার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে সে।
ওই যুবকের তৃতীয় স্ত্রী জানায়, ২০১৬ সালে ওই যুবক ফেসবুকে একজন সেনা কর্মীর পরিচয় দিয়ে কথাবার্তা শুরু করে তাঁর সঙ্গে। এমনকি বালুরঘাটে দেখা করতেও আসে সে। তারপর বিয়ে করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ওই যুবক। বাড়ির অমতে পালিয়ে ওই যুবকের সঙ্গে বিয়ে করেন যুবতী। বিয়ের পর তাকে শিলিগুড়িতে একটি ভাড়া বাড়িতে নিয়ে গিয়ে রাখে দীপক। এমনকি কিছুদিন তাকে নিয়ে পাঞ্জাব এবং হরিয়ানাতে গিয়েও থেকে ছিল ওই যুবক। অবশেষে যুবতীর বাবার কাছ থেকে দু লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় সে। তখন থেকে এই যুবতী তাঁর খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা যায়।
অবশেষে ফেসবুকে ফেক অ্যাকাউন্টের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়ে তাকে আসাম থেকে নিয়ে আসা হয় ফের বালুরঘাটে। আর এখানে এসেই পুলিশের ফাঁদে পড়ে অভিযুক্ত। ওই যুবক সম্প্রতি জলপাইগুড়ি ও মালদার আরও এক মেয়েকে বিয়ে করেছে বলে জানা যায়। তাদের কাছ থেকেও এই রকম টাকা নিয়ে প্রতারণা করার খবর পান পুলিশ। অবশেষে বালুরঘাট থানার পুলিশ গ্রেফতার করে তাকে। ঘটনাটি জানাজানি হতেই বালুরঘাটে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। ওই যুবক আদৌ সেনাকর্মী কিনা কিংবা তাঁর আসল পেশা কি এছাড়াও সে আর কতজনকে বিয়ের নামে এই ভাবে প্রতারিত করেছে সে,এই সকল বিষয়ে তদন্ত নেমেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।