জমি আন্দোলনের পীঠস্থান থেকেই ভোটপ্রার্থী জমি আন্দোলনের নেত্রী। সেই নেত্রীর অপেক্ষায় প্রহর গুণছিল নন্দীগ্রাম। অবশেষে নেত্রী এসে পৌঁছাতেই গর্জে উঠলো নন্দীগ্রাম। সেই গর্জন প্রিয়নেত্রীকে স্বাগত জানানোর। আর নেত্রীও কর্মীসভার মঞ্চে উঠে তাঁদের মনে করিয়ে দিলেন সেই পুরানো লড়াইয়ের কথা। বলেই দিলেন, লড়েছেন তিনিই। যাদের লড়াই করার কথা ছিল তাঁরা ছিল ঘরে বসে। ইঙ্গিত স্পষ্ট, তীরের অভিমুখে অধিকারী পরিবার। তাই বার বার এদিন নেত্রী শুনিয়েছেন, ‘ভুলতে পারি সবার নাম, ভুলবো না নন্দীগ্রাম।’ আর তাই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নন, তৃণমূলের নেত্রী নন, ঘরের মেয়ে হয়েই লড়াই করবেন তিনি নন্দীগ্রামের বুক থেকে। বহিরাগত তিনি নন।
এদিন নন্দীগ্রামে আয়োজন করা হয়েছিল দলের এক কর্মীসভার। সেখানে শুধুমাত্র নন্দীগ্রামের দলীয়কর্মীদেরই ডাকা হয়েছিল। কিন্তু মানুষের ভিড়ে তা কার্যত জনসভাতেই পরিণত হয়। তাই নেত্রী এদিন সভাতে উঠেই জানিয়ে দেন, ‘এটা জনসভা নয়। ১০ হাজার বুথকর্মীকে আজ ডেকেছি তাদের সঙ্গে কথা বলব বলে। নন্দীগ্রাম-১ আর ২ ব্লক, দু’জায়গাতেই সভা করে দেখিয়ে দেব। অনেকে বলবেন দল ভাঙানোর চেষ্টা করছি। বলবে ৭০-৩০য়ের লড়াই হবে। কিন্তু আপনারা ওদের বলে দেবেন আমরা ১০০। নন্দীগ্রামের মানুষরাই গুন্ডাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। নন্দীগ্রামের মানুষের কথা তুলে ধরতে দিল্লি, মুম্বই পর্যন্ত গিয়েছি। অনেকেই আজ প্রশ্ন করতে পারেন নন্দীগ্রামে কেন দাঁড়ালাম। ঘরের কেন্দ্র ছিল ভবানীপুর। কিছুই করতে হত না। মনে রাখবেন, যে দিন শেষ এসেছিলাম। তখন এখানে আসনটা খালি ছিল। পদত্যাগ করে চলে গিয়েছিল। তখন বলেছিলাম, নন্দীগ্রামে দাঁড়ালে কেমন হবে। দেখতে চাইলাম আপনারা কী বলেন। আপনারা বললেন ভাল হবে।