ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবকে এবার জেরা করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয় তাঁকে। ইডি সূত্রে খবর, এদিন জেরায় যা উঠে এসেছে, সমস্তটাই রেকর্ড করা হয়েছে। দেবাঞ্জনের রয়ান বাকি ধৃতদের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে আবারও জেরা করা হতে পারে তাকে। মুখোমুখি বসানো হয়ে পারে বাকি ধৃতদের সঙ্গে।
ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে জেলে গিয়ে ৪ ঘণ্টা ধরে দেবাঞ্জনকে জেরা ইডির
Read More-ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালকে প্রার্থী করল বিজেপি
কসবায় ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের পর্দাফাঁস হয় গত জুন মাসে। তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী ওই টিকাকরণ শিবিরে গিয়ে টিকা নিয়েছিলেন। তবে মোবাইলে মেসেজ না আসায় সন্দেহ হয় তাঁর। পুরো বিষয়টি কলকাতা পুরসভায় জানান তিনি। তারপরই দেবাঞ্জন দেবের কীর্তি আসে প্রকাশ্যে। তাকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। একে একে তার সহযোগীদেরও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে কেন্দ্রের নির্দেশে ইডিও সমান্তরাল তদন্ত শুরু করে। তদন্তভার হাতে নিয়েই দেবাঞ্জনকে জেরা করতে চেয়ে বিশেষ আদালতে আবেদন করে ইডি। সে সময়, আদালত জানিয়েছিল, দেবাঞ্জন জেল হেফাজতে গেলেই ইডি জেরা করতে পারবে।
এদিন একদিনের জন্য প্রেসিডেন্সি জেলে আনা হয় ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের নায়ককে। আগেই ইডির কাছে পৌঁছে গিয়েছিল দেবাঞ্জনের বয়ান। তদন্তকারীরা এদিন সেই বয়ান মিলিয়ে দেখার কাজ সারলেন। তার আগে দেবাঞ্জনের মাদুরদহের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। পাশাপাশি এক আত্মীয়ের বাড়িতেও অভিয়ান চালায় ইডি। লেনিন সরণি এবং ওয়াটগঞ্জেও যায় ইডির আধিকারিকরা। সেই সমস্ত জায়গা থেকে পাওয়া নথি ও বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কেও এদিন দেবাঞ্জনকে প্রশ্ন করা হয়। একদিকে যখন ইডি তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে, তখন অন্যদিকে কলকাতা পুলিশ ইতিমধ্যেই চার্জশিট জমা করেছে। এক হাজার পাতার চার্জশিটে ১৩০ জনের সাক্ষ্যর পাশাপাশি অভিযুক্তদের তালিকায় নাম রয়েছে দেবাঞ্জন দেব-সহ মোট আটজনের।