অন্ডাল বিমানবন্দরে নেমে সোজা তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিতে তারাপীঠ মন্দিরে পৌঁছান জেপি নাড্ডা। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যে বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তবে তার আগে পুজো দেন মুকুল রায় ও কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। তারাপীঠ মন্দিরে পুজোর শেষ চিলার মাঠে সভায় যোগ দেন তিনি। এদিন তারাপীঠ থেকে বিজেপির পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করেন নাড্ডা।
চিলার মাঠের মঞ্চ থেকে নাড্ডা জানিয়েছেন, ‘আজ বাংলার বহিরাগত তত্ত্ব দেওয়া হচ্ছে। ভাইয়ে ভাইয়ে লড়াই বাধানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মমতার রাজ্যে সংকটে বাংলার সংস্কৃতি।’ তিনি এদিন মঞ্চে ওঠার পরই ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনির মাধ্যমে দলীয় সমর্থকদের স্বাগত জানান। বীরভূমের জনসভায় তিনি বাংলার মনীষীদের নাম উল্লেখ করে বক্তব্য রাখেন।
প্রসঙ্গত, বীরভূমের ১১টি বিধানসভা জুড়ে পরিক্রমা করে বিজেপির পরিবর্তন রথ। পাড়ি দেবে ৩২৮ কিমি পথ। রথ যাত্রা সূচনার পর তিনি সিধু-কানহু মূর্তিতে মাল্যদান করবেন নাড্ডা।
প্রসঙ্গত এদিন চিলার মাঠের জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় । এদিন মঞ্চে রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেছেন, ‘আগামী দিনে দেখবন কে পাপী আর কারা পূণ্যবান। সবচেয়ে বড় ওয়াশিং মেশিন তো তৃণমূল। আমি মানুষের স্বার্থে রাজনীতি করি। আমার কাজ হবে উন্নয়ন করা। কেন্দ্রের সঙ্গে ঝগড়া করব না। ২০২১ সালে বিজেপি বাংলায় সরকার গড়বে।’ অন্যদিকে মুকুল রায়ও তৃণমূলকে সরাসরি চ্যাসলেঞ্জ জানিয়ে বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচনে তিন অঙ্কে পৌঁছবে না তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট।’ পাশাপাশি কৈলাশ বিজয়বর্গীয় জনসভায় ‘কয়লা চোর’ বলে স্লোগান তোলেন।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তৃণমূল সুপ্রিমোকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘ক্ষমতা পাল্টে যাচ্ছে, সরকার বদলে যাচ্ছে। মানুষের ভাগ্য বদলাচ্ছে না।’