একের পর এক বাধা ও ইটবৃষ্টি পেরিয়ে ডায়মন্ড হারবারে পৌঁছে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে একহাত নিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। বৃহস্পতিবার কর্মিসভায় নড্ডার গর্জন, বাংলায় এই গুন্ডারাজ ও অরাজকতাবাদ বেশিদিন চলবে না। পদ্ম ফুটবে এই মাটিতে।
বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবারে কর্মীসভার পথে জেপি নড্ডার কনভয় লক্ষ্য করে ব্যাপক ইটবৃষ্টি হয়। ইটের ঘায়ে একাধিক বিজেপি নেতা ও সংবাদমাধ্যমের গাড়ির কাচ ভেঙেছে। আহত হয়েছেন মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়-সহ একাধিক বিজেপি নেতা। আহত হয়েছেন তাঁদের একাধিক নিরাপত্তাকর্মী ও সাংবাদিক।
এর পর এদিন বক্তব্যের শুরুতেই পশ্চিমবঙ্গে অরাজকতার পরাকাষ্ঠায় পরিণত হয়েছে বলে হুঙ্কার ছাড়েন নড্ডা। বলেন, ‘পথে যে দৃশ্য আমি দেখেছি তাতে স্পষ্ট মমতার শাসনে বাংলা অরাজকতা ও অসহিষ্ণুতার পরাকাষ্ঠায় পরিণত হয়েছে। মা দুর্গার আশীর্বাদে আজ আমি এখানে পৌঁছেছি। তৃণমূল কর্মী ও গুন্ডারা গণতন্ত্রের গলা টিপতে কোনও চেষ্টা বাদ রাখেনি। কিন্তু এই গুন্ডারাজ – অরাজকতাবাদ বেশি দিন চলবে না। মমতাদি আপনার সরকারের বিদায় হতে চলেছে, পদ্মফুল ফুটতে চলেছে’।
একই সঙ্গে বাংলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ডাক দেন তিনি। বলেন, ‘আমি এমনি এমনি জঙ্গলরাজ শব্দের ব্যবহার করি না। আপনারা দেখুন, কৈলাসজি, রাহুলদার গাড়ি দেখুন। আমি বুলেটপ্রুফ গাড়িতে ছিলাম বলে বেঁচে গিয়েছি। নইলে এমন কোনও গাড়ি নেই যার ওপর হামলা হয়নি। এই যে গুন্ডারাজ একে আমাদের তছনছ করতে হবে। এখানে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে’।
সুর চড়িয়ে নড্ডার দাবি, ‘বিপক্ষকে পিষে মারার এই যে মতাদর্শ একে আমি পিষে মারতে চাই। সেজন্যই আমি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। গণতন্ত্রের আহ্বান করতে চাই’।
এদিন সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন নড্ডা। বলেন, মমতার শাসনে বাংলার সভ্যতা সংস্কৃতির চরম অধঃপতন ঘটেছে। তাঁর প্রশ্ন, রবীন্দ্রনাথ না অরবিন্দ, কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুই-তোকারির ভাষা শিখিয়েছিলেন?
এদিন ডায়মন্ড হারবারের সভা শেষে জেলার ব্লক সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক করেন জেপি নড্ডা। এর পর রওনা হন সরিষা রামকৃষ্ণমিশনের উদ্দেশ্যে।