More
    Homeখবরমর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় বারাসতে মৃত্যু হলো আইনজীবী বন্দনা মাইতির

    মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় বারাসতে মৃত্যু হলো আইনজীবী বন্দনা মাইতির

    ক্ষোভে ফুঁসছে বারাসত আদালতের আইনজীবীরা। তাদের মতে এই মৃত্যুর জন্য দায়ী আদালতের সিদ্ধান্তহীনতা।অভিযোগ, বারাসতে রেললাইনের একদিকে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বিল্ডিং অর্থাৎ প্রশাসনিক ভবন ও অন্যদিকে, কনজিউমার কোর্ট অর্থাৎ ক্রেতাসুরক্ষা আদালত। আইজনজীবীদের প্রতিদিন বিভিন্ন কেস থাকার জন্য কখনো প্রশাসনিক ভবনে আবার কখনো ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে যেতে হয়। তারমধ্যে থাকে প্রবল কাজের চাপ। আর এটাই দুর্ঘনার প্রধান কারণ। বৃহস্পতিবার দুপুরে বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে একটি সাংবাদিক বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে আইনজীবীদের তরফে জানানো হয়,

    রেললাইনের একদিকে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বিল্ডিং অর্থাৎ প্রশাসনিক ভবন। অন্যদিকে, কনজিউমার কোর্ট অর্থাৎ ক্রেতাসুরক্ষা আদালত। কাজের ব্যস্ততার সময় একই দিনে পরপর গুরুত্বপূর্ণ মামলা থাকলে সময় বাঁচাতে আইনজীবীদের রেললাইন পেরিয়েই পৌঁছাতে হয় ক্রেতাসুরক্ষা আদালতে বা প্রশাসনিক ভবনে। সাংবাদিক বৈঠকে আইনজীবীদের দাবি, এর জেরে প্রায়ই প্রাণ হাতে নিয়ে চলাফেরা করতে হয়। আদালত কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে জানানোর পরেও পরিস্থিতির কোনও সুরাহা হয়নি। কিছুতেই ক্রেতা সুরক্ষা আদালতকে একই ছাদের তলায় আনা হচ্ছে না। এই নিয়ে আজ শুক্রবার সকালে আবার তারা আন্দোলনে বসেছেন।

    আইনজীবীদের বক্তব্য, এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্রেতাসুরক্ষা আদালতে যাওয়া বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন আইনজীবীরা। শুক্রবার সকালে দেখা যায় কোনো আইনজীবী ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে যাচ্ছেন না। সমস্যায় পরেছেন সাধারণ মানুষ। সাংবাদিকদের তারা বলেন, ক্রেতা সুরক্ষা আদালত বাজারের মধ্যে থাকায় ওখানে নানা সমস্যা। তাই তাদের দাবি, ওই আদালতকে এখনই নিয়ে আসতে হবে প্রশাসনিক ভবনে। নতুন করে তারা এই দাবি আবার জানান ও ঘোষণা করেন, যতদিন না দাবিদাওয়া মিটছে, ততদিন ক্রেতাসুরক্ষা আদলতের কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বার কাউন্সিল।

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments