মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে। বউভাতের অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় বোল্ডার বোঝাই ট্রাকের নীচে চাপা পড়ল কনেযাত্রীর দুটি গাড়ি। এই ঘটনায় অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর, যার মধ্যে তিনজন শিশুও রয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন ১৬ জন।
জানা গিয়েছে, ৩টি ছোট গাড়ি পরপর ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু রাস্তা ফাঁকা থাকায় তাঁরা উল্টো দিক দিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময়ে আচমকাই বোল্ডার বোঝাই একটি ডাম্পার আসছিল। প্রথম গাড়িটির সঙ্গে সংঘর্ষ হওয়ার পরে ডাম্পারটি ডিভাইডারের উপর উঠে উল্টে যায়।
কনেযাত্রীর পিছনে থাকা দুটি গাড়ির উপর গিয়ে পড়ে ডাম্পারটি। সেখানেই ডাম্পারের তলায় চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ১১ জনের। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনা আরও ১৮ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে। প্রত্যেকেরই অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে কুয়াশার জেরেই এই দুর্ঘটনা
ঘটনার পরেই জোরকদমে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। ক্রেনের সাহায্যে ট্রাকটিকে তোলার চেষ্টা করা হয়। উদ্ধারে হাত লাগান পুলিশও। এলাকাবাসীদের দাবি, ট্রাকটির সামনে ছোট একটি লরি ছিল। ট্রাকটি লরিটিকে ওভারটেক করতে যাচ্ছিল। সেই সময়ে কনেযাত্রী বোঝাই গাড়িটি আচমকা সামনে চলে আসে। তারপরেই ঘটে দুর্ঘটনা। মৃতদের মধ্যে ৩টি শিশুও রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। হাসপাতালে গিয়ে আহতদের দেখেন জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার। আহতরা জলপাইগুড়ি ও ধূপগুড়ির হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মনে করা হচ্ছে, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃতদের কয়েকজনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। বাকিদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। ঘটনার জেরে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে রাত ২টোর পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে এখন মর্মান্তিক ও ভয়ানক দুর্ঘটনা এই এলাকায় আগে কখনও হয়েছে কিনা, তা মনে করতে পারছেন না কেউই। দুর্ঘটনার ফলে গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। হাসপাতালে আহতদের দেখছেন পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তারা। এখন পর্যন্ত মনে করা হচ্ছে, কুয়াশার জেরেই এই দুর্ঘটনা।