সম্প্রতি সংসদে বারবার ঝড়ের কবলে পড়েছিলেন অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ জয়া বচ্চন। জয়া অমিতাভ বচ্চন হিসাবে তাকে উল্লেখ করতেই ফোঁস করে ওঠেন তিনি। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকারের সঙ্গে চোখে চোখ মিলিয়ে তিনি তার আপত্তি জাহির করেন। প্রবীণ অভিনেত্রীর নামের সঙ্গে তার স্বামীর নাম উল্লেখ করার বিষয়ে কিছু উত্তপ্ত বার্তা বিনিময় হয়। তিনি বলেছিলেন, “এটি একটি নতুন উপায় যে মহিলারা তাদের স্বামীর নামে পরিচিত হন। যেন তাদের নিজস্ব কোনো পরিচয় নেই, কোনো কৃতিত্ব নেই…” অধিবেশনে ছড়িয়ে পড়া এই ঘটনাটি সংসদে অনেক ক্ষোভের সৃষ্টি করে। যার ন্যায় চেয়ারম্যান বলেন, “আমি স্কুলে পড়াশুনা করতে আসিনি… আপনি যে কেউ হতে পারেন। আপনি একজন সেলিব্রেটি হতে পারেন, কিন্তু আপনাকে নিয়মাবলী বুঝতে হবে।” অভিনেত্রী ও সাংসদ কঙ্গনা রানাউত এবার এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন।
এক সাক্ষাৎকারে এই ঘটনার কথা বলতে গিয়ে অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ কঙ্গনা রানাউত বলেন, “এটা খুবই লজ্জাজনক বিষয় যে, বর্তমানে একজন নারী ও পুরুষের মধ্যে সুন্দর পার্থক্য, যা প্রকৃতির দ্বারা তৈরি, সেটাকে বৈষম্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।” কঙ্গনা আরও গভীরভাবে বলেন, “একজন পুরুষ একজন পুরুষ, এবং একজন মহিলা একজন মহিলা এবং তাদের একত্রিত হওয়া একটি সুন্দর ঘটনা। এগুলো ছোটখাটো বিষয়। নারীবাদের নামে মানুষ একটা কুৎসিত দিকে যাচ্ছে… সমাজ একটা কুৎসিত দিকে যাচ্ছে।” জয়া বচ্চনের এই প্রয়োজনীয়তাকে তার ব্যক্তিগত পরিচয়কে “অহংকার” হিসাবে জাহির করার জন্য কঙ্গনা বলেছিলেন, “এই অহংকার এমনকি পরিবারের মধ্যে সুন্দর বন্ধনকেও রেহাই দেয়নি। মানুষের একে অপরকে আলিঙ্গন করা উচিত এবং এই ধরণের কঠোরতার সাথে একে অপরকে বিচ্ছিন্ন করা উচিত নয়। লোকেরা কেবল নাম অর্জন করছে। তাদের জীবনে গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এবং যখন তারা বলে, ‘আমার পরিচয় কেড়ে নেওয়া হয়েছে, আমি ধ্বংস হয়ে গেছি’ তখন আমি দুঃখিত বোধ করি।” কঙ্গনা বর্তমানে তার আসন্ন ছবি এমারজেন্সি নিয়ে ব্যাস্ত। যেখানে তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ভুমিকায় অভিনয় করছেন। এই ছবিতে দেখা যেতে চলেছে অনুপম খের, মহিমা চৌধুরী, প্রয়াত সতীশ কৌশিক, শ্রেয়াস তালপেড়ে আরও অনেককেই।