সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে লড়াই করা প্রতিবাদকারীদের মৃত্যু সংখ্যা ৫১০ ছুঁয়েছে। সেনাদের গুলির কাছে প্রাণ হারাতে হয়েছে সকলকে। মঙ্গলবার এএপিপি নিশ্চিত করেছে যে এই সংখ্যা হয়ত আরও বেশি হতে পারে।
এও জানান হয়েছে যে সোমবার মায়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়ানগুনে আটজন নাগরিক নিহত হয়েছেন। সোমবার মৃত্যু হয়েছে মোট ১৪ জনের। পয়লা ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী নির্বাচিত নেতা আং সান সুচিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে প্রতিবাদকারীদের উপর হত্যালীলা চালানোর জন্য জুন্টার উপর চাপ বৃদ্ধি করছে আন্তর্জাতিক মহল।
ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মায়ানমারে গণতান্ত্রিক সরকার পুনরুদ্ধারের দাবিতে একটি বাণিজ্য চুক্তি স্থগিত করেছে। কানাডা, ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাষ্ট্রসংঘ মায়ানমারের ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেছে সকলেই।
এদিকে, মায়ানমারের তিনটি সশস্ত্র জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী একটি যৌথ বিবৃতি জারি করে সেনাকে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। তাগাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি, মায়ানমার ন্যাশনালিটিস ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি এবং আরাকান আর্মি (এএ) বলেছে যে যদি জুন্টা রক্তপাত বন্ধ না করে, তবে তারা ‘প্রতিবাদকারীদের সহযোগিতা করবে এবং লড়াই করবে।’