কোচবিহার পৌরসভা সদ্য হেরিটেজ শহরের তকমা পেয়েছে। সেই অবস্থায় শহরের যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা একটা মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পৌরসভার কাছে। এবার তারা কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে। বর্তমান সময়েই নোংরা-আবর্জনা পরিষ্কার করতে এবং ফেলা বন্ধ করতে রীতিমত তৎপর হয়ে উঠেছে পুরসভা। সেজন্য পুর এলাকার প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে নির্মল সাথীদের মাধ্যমে মাইক দিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে। সকল নাগরিকদের জানানো হচ্ছে যেন বাড়ির নোংরা তাঁরা সকালে ওয়ার্ডে যাওয়া নির্মল সাথীর গাড়িতেই দেন। অন্যত্র নোংরা ফেললে শাস্তির বিধান জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে আমরা কথা বলেছিলাম চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে। তিনি বলেন, “শহরের যত্রতত্র নোংরা পড়ে থাকতে দেখে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়তে হয়। সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাবের কারণেই এই সমস্যা বারংবার ফিরে আসছে। তাইতো ইতিমধ্যেই তৎপর হয়ে উঠেছে কোচবিহার পুরসভা। শহরের নাগরিকদের উদ্দেশ্যে প্রতিদিন প্রচার চালানো হচ্ছে। এক সপ্তাহ পর্যন্ত এই প্রচার চালানো হবে। তারপরেও যদি পরিস্থিতি না ঠিক হয় এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নোংরা-আবর্জনা ফেলেন। তবে সেক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নগদ জরিমানা করা হবে সেই ব্যক্তিকে।” কোচবিহার শহরের এক বাসিন্দা, রাখি পাইন জানান, “পুরসভার নেওয়া এই পদক্ষেপ অনেকটাই সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। এই পদক্ষেপের ফলে যদি নোংরা-আবর্জনার পরিমাণ রাস্তায় কমে। তবে সেক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা হবে।”