মঙ্গলবার দুপুরে বোলপুরে রোড শো করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মিছিল শেষ হল, বোলপুরে জনসভায় বক্তৃতা দেন দিদি। তাঁর সেই বক্তৃতার হাইলাইটস-
বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। পদাধিকার বলে প্রধানমন্ত্রী তার উপাচার্য হন। রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন এখানে একবার এসেছিলেন। আমি বিশ্বভারতীর বোর্ডের সদস্য ছিলাম। উনি আমাকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন। তখনই বিশ্বভারতীতে আমার প্রথম আসা। রাজীবজি তখন বেশ ইয়ং। ইয়ং ছেলেমেয়েরা তাঁকে খুব পছন্দ করতেন। যখন আমরা ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে খেতে বসেছি, তাঁরা রাজীব জিকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, আমাদের আইকন কেমন হওয়া উচিত। রাজীব গান্ধী আমাকে দেখিয়ে বলেছিলেন, ওর মতো। কেন বলেছিলেন জানেন। কারণ বাংলার মাটিটাকে আমরা খুব ভালবাসি। কত সুন্দর একটা স্মৃতি রোমন্থন করলাম। সন্দেহ হলে তখনকার কাগজ দেখে নেবেন। আজ যখন দেখি, সেই বিশ্বভারতীতে প্রাচীর গেঁথে দেওয়া হয়, মানুষের হৃদয়কে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়, তখন আমার ভাল লাগে না, আমি বলি বাঁধ ভেঙে দাও, বাঁধ ভেঙে দাও। আমার ভাল লাগে না, যখন দেখি বিশ্বভারতীকে ঘিরে একটা জঘন্য ধর্মান্ধ রাজনীতি চলছে। এক ঘৃণ্য রাজনীতি এখানে আমদানি করা হয়েছে। ঘৃণ্য বললেও ভুল হবে, সংকীর্ণ রাজনীতি। যারা আমাদের ধর্মটাকে ভুলিয়ে দিচ্ছি। হিন্দু ধর্ম জানতে গেলে বিবেকানন্দর ছবিতে মালা দিলেই হবে না, বিবেকানন্দকে অন্তর দিয়ে বুঝতে হবে, রামকৃষ্ণকে জানতে হবে, সারদা মাকে জানতে হবে, কঙ্কালিতলা জানতে হবে, নলহাটেশ্বরী জানতে হবে, বক্রেশ্বর জানতে হবে, পাথরচাপড়ি জানতে হবে, কালীঘাট জানতে হবে। ইট ইজ নট দ্যাট ইজি। বাংলায় ভোটের জন্য আসছে। প্রতি সপ্তাহে এক বার, খাচ্ছে ফাইভ স্টারে খাবার।