আলিপুরদুয়ার থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করে বলেছিলেন, বন সহায়ক পদে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে দুর্নীতি হয়েছে। তিনি বিষয়টি নিয়ে নাম না করে প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, একজন আমাদের দল থেকে চলে গেছে। সে কিছু কারসাজি করেছে এই নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপারে। আমাদের সরকার সেটা তদন্ত করে দেখবে। সেই মতো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। শুক্রবার এ ব্যাপারে মন্ত্রিসভার বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে মন্ত্রিসভার সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার জন্য বলেন।
এরপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বন সহায়ক নিয়োগ পদে যে দুর্নীতি হয়েছে সেটার সঠিক তদন্ত করা হবে। কি এই বন সহায়ক পদ? জঙ্গলে প্রচুর অরক্ষিত জায়গা আছে। সেখানে কাঠ, মধু চুরি হয়। পশু-পাখিদের চোরাশিকারির দল হত্যা করে। সেই সমস্ত ক্ষেত্রে বনদপ্তরকে সাহায্য করবেন বন সহায়করা। সেই কারণে এই পদের সৃষ্টি করা হয়েছে। আর সেখানে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অভিযোগ উঠেছে এই পদে নিয়োগ করা হয়েছে অনেককে, যারা বন সংলগ্ন অঞ্চলে বসবাস করেন না। সেই সময় বিষয়টি নিয়ে বিক্ষোভ হয় বিভিন্ন রেঞ্জ অফিসে। যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা আক্রমণ করেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, আমার কাছে তৃণমূলের নেতা, বিধায়ক, মন্ত্রীরা সরাসরি ফোন করে এবং এসএমএস করে সুপারিশ করেছেন নিয়োগের ব্যাপারে। বিষয়টি আমি মুখ্যমন্ত্রীকে তখন জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারপরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমি দল ছেড়েছি জানুয়ারি মাসের শেষে। যদি সত্যিই দুর্নীতি করে থাকতাম তাহলে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হল না কেন? সেই সঙ্গে তিনি বলেন, সমস্ত সুপারিশ, ফোন কল, মেসেজ আমি যত্ন করে রেখে দিয়েছি। এখানেই থেমে থাকেননি রাজীব। সেদিন তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, যদি আপনার ক্ষমতা থাকে তবে ওই বন সহায়ক এর প্যানেল বাতিল করে দিন।