শনিবার দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে আরও কিছুটা কমল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই শীতের দাপট কিছুটা বেড়েছে। যদিও ২৪ ঘণ্টা পর থেকে ফের বাড়তে শুরু করবে তাপমাত্রা।
এ দিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রাটি স্বাভাবিকের তেকে এক ডিগ্রি কম এবং তা শুক্রবারের থেকেও কিছুটা কমেছে।
এ দিন দক্ষিণবঙ্গের শীতলতম স্থান ছিল পুরুলিয়া। সেখানে পারদ রেকর্ড করা হয়েছিল ৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতের দাপটের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে ছিল আসানসোল। সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৯ ডিগ্রি। পশ্চিমাঞ্চলের বাকি অঞ্চলে তাপমাত্রা ১০-১১ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করেছে।
শীত বেড়েছে উপকূলবর্তী অঞ্চলে। দিঘায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কাঁথিতে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ক্যানিং, ডায়মন্ড হারবার এবং হলদিয়ায় তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ১৩.৪, ১৩.৮ এবং ১৪.৯ ডিগ্রি।
উত্তরবঙ্গে শীতের অবশ্য বিশেষ হেরফের নেই। দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ৪.৪ এবং ৮ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়। সমতলে তাপমাত্রা ছিল ১০-১১ ডিগ্রির মধ্যেই।
শীতের এই ইনিংসের শেষ হয়ে যাবে রবিবার সকালেই। তার পর থেকেই বাড়তে শুরু করবে তাপমাত্রা। সোমবার থেকে পরের চার-পাঁচ দিন তাপমাত্রা ১৬-১৭ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করবে।
উল্লেখ্য, উত্তর ভারতে শক্তিশালী পশ্চিমী ঝঞ্ঝা হানা দিতে চলেছে। এর প্রভাবে কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচল এবং উত্তরাখণ্ডে যেমন প্রবল তুষারপাত হতে পারে, তেমনই সমতলে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। এর জেরে বাধাপ্রাপ্ত হবে উত্তুরে হাওয়া।
উত্তুরে হাওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দক্ষিণবঙ্গে বাড়তে শুরু করবে তাপমাত্রা। সামনের সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গে অল্পস্বল্প বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে ঝঞ্ঝার প্রভাব কেটে গেলে ফের কমতে শুরু করবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ফেব্রুয়ারির শুরুতে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ফের একবার বারো ডিগ্রিতে নেমে যেতে পারে। অর্থাত্, ফেব্রুয়ারিতেও জাঁকিয়ে শীত ফিরে আসবে দক্ষিণবঙ্গে। ফলে, একটা ব্যাপার নিশ্চিত যে শীত এখনই বিদায় নিচ্ছে না।