এবার এই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের ফর্ম ভর্তি করতে হাওড়ায় রীতিমতো শিবির খুলল বিজেপি। শুক্রবার মধ্য হাওড়ার অক্ষয় শিক্ষায়তনের সামনে দলীয় পতাকা লাগিয়ে টেবিল পেতে বিজেপি কর্মীদের ‘স্বাস্থ্যসাথী’র ফর্ম বিলি করতে দেখা যায়।
রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে বিজেপির শিবির করে এগিয়ে আসা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এদিন দলীয় পতাকা লাগিয়ে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের ফর্ম পূরণ করতে দেখা যায় হাওড়ার স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বকে। অনেককেই সেখানে বসে ওই ফরম পূরণ করে জমাও করেছেন। একদিকে যখন রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প নিয়ে তাদের সমালোচনা করছে বিরোধীরা। তখন বিজেপির এই প্রকল্পে ফর্ম পূরণে সাহায্য করা অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করে জেলার রাজনৈতিকমহল।
বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছে, শিবির করে মানুষকে এই প্রকল্পের আওতায় আনার জন্য সহযোগিতা করা হবে। কারা কারা আবেদন করছেন, তাঁদের নাম নথিভুক্ত করে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন বিজেপি এভাবে শিবির করছে? হাওড়া জেলা(সদর) বিজেপি সভাপতি সুরজিত্ সাহা বলেন, ‘ভোটের রাজনীতি করছে রাজ্য সরকার। তাই আমরা ফর্ম বিলি করে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করে রাখছি। তাঁরা এই সুবিধা পায় কিনা দেখার আছে। আমরা দেখেছি বিভিন্নরকম প্রকল্প বেরিয়েছে কিন্তু সাধারণ মানুষ সেই সুবিধা পায়নি। আগামী দিনে সব মানুষ যাতে প্রকল্পের সুবিধা পায়, তার সঠিক ব্যবস্থা আমরা করতে চাই। এর আগে রাজ্যে সাড়ে তিন লক্ষ স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড দেওয়া হয়েছিল। সেক্ষেত্রে তাঁরা কী সুবিধা পেয়েছে কেউই জানে না।’
কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ্মান প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্তি না হওয়ায় রাজ্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন সুরজিত্ সাহা। স্বাস্থ্য সাথীর আগেকার কার্ডের কথা ভেবে আমরাও এবার নজর রাখছি। এই প্রসঙ্গে হাওড়া জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অরূপ রায় জানান, বিরোধীরা রাজ্য সরকারের এই ঐতিহাসিক প্রকল্পের বিরোধিতা করলেও আসলে তাঁরা সকলেই এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে চাইছেন। আর তাই এভাবে শিবির করে ফর্ম পূরণের কাজ করছেন। এই খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।