৩০ তারিখের পর ১০ লক্ষ কিউসেকেরও বেশি জল ছেড়েছে ডিভিসি। এমনটাই দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপ্য়াধ্যায় বলেন, ‘এটা ম্য়ান মেড ক্রাইম’। রাজ্যকে না জানিয়ে এত পরিমাণ জল ছেড়ে দেওয়াটা অপরাধ বলেই দাবি করলেন তিনি। যার ফলে জলের তলায় চলে গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাংশ। এভাবে চলতে থাকলে বন্যার পরিস্থিতির জন্য ক্ষতিপূরণ ডিভিসির থেকে চাওয়া হবে বলে দাবি করলেন মমতা বন্দ্যোপ্য়াধ্যায় ।
গত দু’দিনে কখন, কত পরিমাণ জল ডিভিসি ছেড়েছে এদিন নবান্নে তার হিসাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু ডিভিসি নয়, ঝাড়খণ্ডের জলাধার থেকেও জল ছাড়া হয়েছে বলে জানান মমতা। এরফলে উদয়নারায়ণপুর, আমতা, বাগনান, ঘাটাল, আউশগ্রাম, খানাকুল, ডেবরার মতো এলাকা প্লাবিত। তবে এই প্রথম নয়, এক মরসুমে এর আগেও বন্যা পরিস্থিতির তৈরি হয়েছিল রাজ্যে। জুলাইয়ে বন্যার জন্যও ডিভিসিকেই দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘প্রতিবার এমনটা হতে পারে না। আমি কড়া ভাষায় ধিক্কার জানাই। ডিভিসি তাদের জলাধারগুলি ড্রেজিং করুক। এ নিয়ে কেন্দ্রের উচিত মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা। আমি আগেও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। আবারও দেব। প্রধানমন্ত্রীকে আমার অনুরোধ, এই বিষয়টি নিয়ে সিরিয়াসলি ভাবুন।’
রাজ্যে ৩ লক্ষেরও বেশি পুকুর কাটা হয়েছে বলে দাবি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘তা সত্ত্বেও বছরে চারবার করে বন্যা হলে আমরা কী করব? এমনীতেই বাংলা নদীমাতৃকার দেশ, তাই বলে প্রতিবার ডিভিসি জল ছেড়ে এভাবে চাষের জমি ভাসিয়ে দেবে? এভাবে চললে ক্ষতিপূরণ দিক ডিভিসি। এনিয়ে শীঘ্রই আলোচনায় বসার অনুরোধও করেন তিনি।