রাজ্যে নির্বাচনী হিংসার ইতিহাস মাথায় রেখে কোনও রকম ফাঁক ফোকড় রাখতে চাইছে না তাঁরা। তাই আগে ভাগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় বসলেন কমিশনের আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের জন্য ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছেন তাঁরা।
পশ্চিমবাংলার পাশাপাশি ভোট হচ্ছে আরও চার রাজ্যে। তবে পাঁচ রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উত্তেজনা রয়েছে বাংলাতেই। ফলে এ রাজ্যে সুষ্ঠ নির্বাচন করাতে আগে থেকেই কোমর বাঁধতে শুরু করেছে কমিশন। বাংলার নির্বাচনী হিংসার ইতিহাস বেশ পুরনো। বারবার নির্বাচনে রক্ত ঝরেছে রাজ্যে।
গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে মোতায়েন ছিল ৭৪৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে আরও ৫১ কোম্পানি অতিরিক্ত বাহিনী কেন্দ্রের কাছে চেয়েছে কমিশন। সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনের মতো পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনও হবে সাতটি পর্যায়ে। তবে তার অনেক আগেই রাজ্যে আধাসেনা মোতায়েন হবে বলে অনুমান।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজ্যে এসেছেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। গত মাসেই রাজ্যের আধিকারিকদের সঙ্গে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে প্রথম পর্যায়ের বৈঠক সেরে গিয়েছেন তিনি। বুধবার তাঁর বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার ও রাজ্য পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বৈঠকে বসার কথা। তার আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও কমিশনের বৈঠকে স্পষ্ট, এবারের নির্বাচনে নজির গড়তে চায় তারা।