কেন্দ্রের ক্ষমতা দেখিয়ে রাজ্য পুলিশকে হুমকি দিয়েই চলেছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। যার মধ্যে গতকালের ঘটনায় বিতর্ক উস্কে দিয়েছে কয়েকগুণ। গতকালই তমলুকে গিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের এসপির অফিসের বাইরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপি তুলে দেওয়ার কর্মসূচীতে বেলাগাম আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি দাবি করেন, তাঁর কাছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের কল রেকর্ড রয়েছে। এরপরই প্রশ্ন উঠেছে, এই রেকর্ড তাঁর কাছে কীভাবে রয়েছে? উল্লেখ্য, শুভেন্দু এদিন বলেন, ‘আপনাদের হাতে যদি রাজ্য সরকার থাকে, আমার কাছেও কেন্দ্রের সরকার আছে।’ তাতেই জল্পনা আরও বাড়ে।
এই ঘটনার পরই রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে স্বতঃপ্রণোদিত এফআইআর দায়ের হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় হয়ে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতি। কারণ এফআইআর হলেই দ্রুত তদন্ত করে সেই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা পুলিশের কাজ। সেক্ষেত্রে পুলিশের জালে জড়িয়ে পড়তে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। এমনিতেই তাঁর নামে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। একদিকে সিআইডি অন্যদিকে রাজ্য পুলিশ যোগ হয়ে যাওয়ায় চাপ বাড়ছে শুভেন্দুর উপর বলে খবর।
ঠিক কী বলেছেন বিরোধী দলনেতা? শুভেন্দু বলেন, ‘আমি আইসি, ওসি, এবং ওসির ভূমিকার তদন্তের জন্যে সিবিআই–এর তদন্তের দিকে যাচ্ছি। তাহলে বুঝতে পারবেন, তখন কিন্তু পিসিমণি, চটিমণি কেউ বাঁচাতে পারবে না। ভাইপোর অফিস থেকে যারা আপনাকে ফোন করে, আমার কাছে প্রত্যেকটা কল রেকর্ড, ফোন নম্বর আছে। আপনাদের হাতে যদি রাজ্য সরকার থাকে, আমার কাছেও কেন্দ্রের সরকার আছে।’ এই মন্তব্যের পরই রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইন এবং গোপনীয়তা আইনের ৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী স্বতঃপ্রণোদিত এফআইআর দায়ের করা হয়।শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অমরনাথ কে বলেন, ‘এই অভিযোগ দায়ের হয়েছে সোমবার তাঁর করা মন্তব্যের উপর ভিত্তি করে।’ পুলিশের স্বতঃপ্রণোদিত এফআইআর–এ লেখা রয়েছে, সরকারি আধিকারিকদের ভয় দেখানো, অপমান করা এবং ফোনে আড়িপাতার অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।