সুন্দর শরীরের আকাঙ্ক্ষা মানুষের স্বাভাবিক। কিন্তু ওজন কমানোর নামে অনেকেই অস্বাস্থ্যকর পথ বেছে নিচ্ছেন। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া নানা ধরনের ডায়েট চ্যালেঞ্জ বা ম্যাজিক ওজন কমানোর পদ্ধতি অনেককেই বিভ্রান্ত করছে। রাতারাতি ওজন কমাতে গিয়ে শরীরের অনেক ক্ষতি হতে পারে, এমন সতর্কবার্তা দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
ক্র্যাশ ডায়েটের বিপদ:
- পুষ্টির ঘাটতি: এই ধরনের ডায়েটে শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের অভাব দেখা দেয়। এর ফলে দুর্বলতা, অ্যানিমিয়া, হাড়ের সমস্যা ইত্যাদি হতে পারে।
- পাচনতন্ত্রের সমস্যা: কম খাওয়া বা একঘেয়ে খাবার খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- হার্টের সমস্যা: ক্র্যাশ ডায়েট হার্টের জন্যও ক্ষতিকর। এটি হার্ট রেট কমিয়ে দিতে পারে এবং হার্টের পেশির ক্ষতি করতে পারে।
- মেজাজ খারাপ ও দুর্বলতা: ক্র্যাশ ডায়েটের ফলে শরীরে শক্তির অভাব হয়, যার ফলে মেজাজ খারাপ, দুর্বলতা, অবসাদ ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- ওজন দ্রুত ফিরে আসা: এই ধরনের ডায়েটের ফলে ওজন দ্রুত কমলেও, ডায়েট বন্ধ করার পর আবার ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।
স্বাস্থ্যকর ওজন কমানোর উপায়:
- সুষম খাদ্য: সব ধরনের পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। ফল, শাকসবজি, পুরোধান, দুধ, মাছ, মাংস ইত্যাদি খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।
- নিয়মিত ব্যায়াম: সপ্তাহে কমপক্ষে তিনদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা উচিত।
- পর্যাপ্ত ঘুম: ভালো ঘুম শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- চাপমুক্ত থাকুন: মানসিক চাপ ওজন বাড়ার একটি কারণ। তাই চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।
বিশেষজ্ঞদের মতে:
“রাতারাতি ওজন কমানোর কোনো সহজ উপায় নেই। স্বাস্থ্যকর ওজন কমানোর জন্য ধৈর্য ধরতে হবে এবং সঠিক পথ অনুসরণ করতে হবে,” স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে ধীরে ধীরে ওজন কমানো উচিত। কোনও ধরনের ডায়েট শুরু করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।