অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় থেকে সুদীপ্তা চক্রবর্তী এমনকি সোহিনী সরকার,আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ধর্মতলার ধর্ণার কর্মসূচিতে উপস্থিতি ছিলেন সবাই। রবিবার অর্থাৎ ২রা সেপ্টেম্বর তিলোত্তমার হয়ে যে মিছিলে তারা সামিল হয়েছেন, তাতে সারারাত পথে বসেই বিচার চেয়েছেন তাঁরা। সমাবেশের মঞ্চ থেকেই তাঁরা জানিয়েছিলেন, রাত দখল হবে। গতকাল সক্রিয় ভূমিকায় ছিলেন সোহিনী থেকে স্বস্তিকা সকলেই। বুকে জ্বলছে আগুন। মেয়েদের বিচার না করে তারা রাস্তা থেকে উঠবেন না বলেই জানিয়েছিলেন। পাঁচ দফায় মেল করেও মেলেনি জবাব। তাই তারা উত্তরের অপেক্ষায় সারারাত রাস্তায় ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় নিজের প্রশ্ন রেখেই বললেন, “এই প্রিন্সিপাল, তাঁর কাছে কী এমন ক্ষমতা থাকতে পারে, বা কী এমন তথ্য সে জানে, যে এতজন মানুষ, এত জনসাধারণের আর্জি না শুনে সরকার, পুলিশ, কেন্দ্র, রাজ্য আইনজীবীরা সবাই উঠে পড়ে লেগেছে। সবাই মিলে ওই একজন মানুষকে বাঁচাতে লড়াই করছে। উনি কী এমন জানেন, আমি এটাই ভাবছি।” স্বস্তিকা রাত দখলে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন। তাঁর পাশাপাশি ছিলেন সুদীপ্তা, বিদীপ্তা অনেকেই।
আর একদিকে যখন তিলোত্তমার বিচার চাইতে মানুষ ব্যস্ত, ঠিক তখন সেই সমাবেশেই হেনস্থার শিকার এক আন্দোলনকারী। মদ্যপ অবস্থায় প্রতিবাদ মিছিলে ঢুকে পড়ে সেই ব্যক্তি। এবং তাঁরপর শুরু করেন অভব্য আচরণ। সূত্রের খবর, আয়োজকরা তাঁকে ধরতে ছুটে যান। তারপর তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। যে মিছিলে একজন মেয়ের বিচার চাওয়া হচ্ছে, সেখানে এহেন আচরণ একেবারেই বরদাস্ত করা যাবে না বলেই জানিয়েছেন আয়োজকরা।