More
    Homeঅনান্যরুক্ষ ও প্রাণহীন হওয়ার দিকে এগিয়ে যাওয়া থেকে চুলকে বাঁচাতে...

    রুক্ষ ও প্রাণহীন হওয়ার দিকে এগিয়ে যাওয়া থেকে চুলকে বাঁচাতে…

    আগেই আসি চুলের সমাধান নিয়ে-

    রুক্ষ ও প্রাণহীন হওয়ার দিকে এগিয়ে যাওয়া থেকে চুলকে বাঁচাতে হবে এখন। চলুন জেনে নেই কীভাবে করবো!

     

    ডিম: প্রোটিনের এক অসাধারণ উৎস এটি। চুলের ময়েশ্চার ফিরিয়ে আনে, ড্যামেজ রিপেয়ার করে এবং চুলকে শক্ত করে তোলে। এর জন্যে দরকার হবে দুটি ডিম। ডিমের শুধু কুসুম নেবেন। সাদা অংশটা আবার ফেলে দেবেন না যেন, ওটা রেখে দেবেন পরে ব্যবহারের জন্য। ডিমের কুসুমের সাথে দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। চুলের দৈর্ঘ্য আর ঘনত্ব বুঝে পরিমাণ কমবেশি করতে পারেন। এই মিশ্রণ পুরো চুলে লাগিয়ে রাখুন ত্রিশ মিনিট। এরপরে কোন হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রথম বারেই লক্ষণীয় পরিবর্তন দেখতে পারবেন।

    অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার: চুলের স্টাইলিং মানেই সেটিং স্প্রে, মুজ, জেল, হিট প্রটেক্টিং স্প্রে- এসবের ব্যবহার। শ্যাম্পু করলেও কিন্তু এই কেমিক্যাল-গুলো পুরোপুরি ভাবে যায় না। এক্ষেত্রে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার কিন্তু দারুণ কাজে আসে। দুই চা চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার, দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল আর দুটো ডিমের সাদা অংশ (সেই যে আগের রেখে দেয়া) ভালো করে মিশিয়ে মাথার স্ক্যাল্প থেকে শুরু করে পুরো চুলে প্রায় ভিজিয়ে ফেলার মত লাগাতে হবে। মিশ্রণটি মাথায় রাখুন পঁচিশ মিনিট। এরপরে ঠাণ্ডা পানি ধুয়ে নিয়ে পরে শ্যাম্পু করুন। চুল পুরোপুরি পরিষ্কার করতে এই প্যাকের জুড়ি নেই।

    দই: আপনি কি আমার মত অলস? তাহলে এই প্যাকটি আপনার জন্য। টক দই লাগান পুরো চুলে। হালকা করে লাগান স্ক্যাল্প-এ। মিনিট ১৫ পরে শ্যাম্পু করে ফেলুন। পর পর কয়েক দিন করলে চুল বেশ প্রানবন্ত হয়ে উঠবে।

    এবার আসি ত্বকের যত্নে-

    এই কদিন ধরেই মেকআপ করে করে ত্বক নিশ্চয়ই ফুলে ফেঁপে উঠেছে ডেড সেল আর পিম্পল-এ। নিচের কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করলেই কিন্তু সেই আগের উজ্জ্বল ত্বক ফিরে পাওয়া যাবে খুব সহজেই।

     

    ত্বকের যত্নের প্রথম ধাপেই আসে এক্সফলিয়েশন। অনেকে কেনা স্ক্রাব ব্যবহার করতে পছন্দ করেন কিন্তু অনেকের আবার আমার মত সেনসিটিভ স্কিন-এ সেটা স্যুট করে না। তারা যেটা করতে পারেন তা হল- আধা কাপ ওটমিল, দুই চা চামচ টক দই, লেবুর রস এক টেবিল চামচ আর প্রয়োজন মত পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট বানান। মুখে, গলায় লাগিয়ে রাখুন। মিনিট ১৫ পরে শুকিয়ে আসলে সার্কুলার মোশন-এ ঘষে তুলে ফেলুন। এরপরে হালকা গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিন।

    চোখের ওপর এসময় অনেক ঝক্কি যায়। কিন্তু এর বেলায় তো আর স্ক্রাব করা যাবে না। শসার রস করে তাতে তুলোর প্যাড ডুবিয়ে চোখের ওপর রাখুন ২০ মিনিট। এরপরে আলুর রস দিয়ে চোখের চারপাশ মুছে নিন। এবার ভিটামিন-ই ক্যাপ খুলে এর ভেতরের তেলটা আঙুলের ডগায় লাগিয়ে চোখের চারপাশের অনেকটা অংশ জুড়ে হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন অনেকক্ষণ। তেল পুরোপুরি মিশে গেলে আবার একটা তুলোর প্যাড-এ গোলাপ জল নিয়ে চোখের চারপাশটা একটু মুছে নিন।

    শেষের ধাপ হল ফেস মাস্ক। এক্ষেত্রে ত্বক অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ফেস মাস্ক লাগাতে পারেন। তবে আমি যেটা বলবো সেটা হল সবচেয়ে সহজ উপায়। রোজ রাতে ঘুমুবার আগে মুখটা ভালো করে ক্লিন করে মধু আর দুই তিন ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। পানি দিয়ে ধুয়ে ত্বক অনুযায়ী নাইট ক্রিম লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। লেবুতে এলার্জি থাকলে সেটা বাদ দিয়ে শুধু মধু তাই মুখে ম্যাসাজ করে নিতে পারেন। তবে এটা করবেন প্রায় টানা সাত দিন। তবেই ভারী মেকআপ-এ ক্লান্ত হয়ে যাওয়া ত্বক ফিরে পাবে তার স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা।

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments