কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর আনন্দে মেতে উঠেছে বাঙালি। ঘরে ঘরে মায়ের পুজো। আর এই পুজোর অবিচ্ছেদ্য অংশ হল নাড়ু। কিন্তু কেন লক্ষ্মী পুজোয় নাড়ু দেওয়া হয়, তা কি জানেন?
ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত: নাড়ুর ইতিহাস খুবই পুরনো। লড্ডুক বা লড্ডু থেকেই নাড়ুর উৎপত্তি বলে মনে করা হয়। ঋগ্বেদের দেবীশ্রী অধ্যায়ে মাতা লক্ষ্মীর সঙ্গে শ্রী, ঐশ্বর্য, স্নেহের যোগ দেখতে পাওয়া যায়। নারকেল, তিল এগুলিকে স্নেহ দ্রব্য বলা হয়, যার থেকে তেল উৎপাদন করা যায়। নাড়ুর উপাদান শর্করাও এক অর্থে স্নেহ। অর্থাৎ এই নারকেল বা তিলের নাড়ু সেই মাতৃস্নেহকেই প্রসাদ রূপে গ্রহণের প্রতীক।
বৃদ্ধদের কাছ থেকে জানা গল্প: বয়োজ্যেষ্ঠরা বলেন, নাড়ুকে আমরা বাইরে থেকে কেবল নাড়ু দেখি, কিন্তু এর মর্মে যে দর্শন লুকিয়ে আছে, তা পর্বতসম। নাড়ু মায়ের স্নেহের পদার্থরূপী বাস্তব রূপ।
কেন লক্ষ্মী পুজোয় নাড়ু? লক্ষ্মী হলেন ধনসম্পদের দেবী। তিনি আমাদের দেবী লক্ষ্মী। তিনি মানুষের চতুর্দশা ধর্ম, কাম, অর্থ ও মোক্ষকে ধারণ করেন। তাই তাঁকে তুষ্ট রাখতেই সাধ্যমতো পুজোর আয়োজন করেন গৃহস্থেরা। আর নাড়ু, এই পুজোর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে মায়ের প্রতি ভক্তি ও স্নেহের প্রকাশ।
সহজেই বাড়িতে বানান নাড়ু: নাড়ু বানানো খুবই সহজ। নারকেল, গুড় বা চিনি এবং সামান্য পরিমাণে এলাচ দিয়েই মিষ্টি নাড়ু তৈরি করা যায়।
সারাংশ: লক্ষ্মী পুজোর নাড়ু কেবল একটি মিষ্টি খাবার নয়, এর পিছনে লুকিয়ে আছে এক গভীর অর্থ। এটি মাতৃস্নেহের প্রতীক, ঐতিহ্যের ধারক। তাই এই পুজোতে নাড়ু অর্পণ করে আমরা মায়ের আশীর্বাদ লাভ করি।
পরিশেষে: কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর এই আনন্দে মেতে উঠুন, আর নাড়ু খেয়ে মায়ের আশীর্বাদ কামনা করুন।