লবঙ্গ খুবই সহজলভ্য ও অতিপরিচিত একটি মশলা। লবঙ্গতে ‘ইউজেনল’ নামক একপ্রকার যৌগ থাকে, সেই কারণেই এটি সুগন্ধবিশিষ্ট। এছাড়া ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও মিনারেলসে ভরপুর এই মশলা। লবঙ্গে যে পলিফেনল আছে তা জীবাণুনাশক, বেদনানাশক, প্রদাহনাশক। অর্থাৎ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ সম্পন্ন। ম্যাঙ্গানিজের একটি উৎকৃষ্ট উৎস হল লবঙ্গ, যা মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়তা করে। রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে লবঙ্গ দারুণ কাজ করে। ২০১৯ সালে গবেষণায় দেখা গেছে ‘নাইজেরিসিন’ নামক উপাদান ইনসুলিনের ক্ষরণ বাড়িয়ে সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। বেদনানাশক গুণ রয়েছে লবঙ্গ তেলের। হাড় শক্ত রাখতে ও আর্থ্রাইটিস কমাতে লবঙ্গে উপস্থিত ‘পলিফেনল’ কার্যকর। জয়েন্টে ব্যথা, পেশির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
ঠান্ডা লেগে সর্দিকাশি ও হাঁপানি জনিত সমস্যায় কাজে দেয়। লবঙ্গ তেল ফুসফুসের ব্যাকটিরিয়ায় সংক্রমণ রোধ করতেও খুবই উপকারী। লবঙ্গ তেল ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণ জনিত সর্দি-কাশি কমাতে সাহায্য করে। বিজ্ঞানসম্মতভাবে প্রমাণিত হয়েছে, লবঙ্গ শরীরের যে কোনও টিউমারের বৃদ্ধি রোধ করে ক্যানসার সেলগুলিকে নষ্ট করে দেয়। মুখ বা দাঁতের সমস্যায় লবঙ্গ তেলের ব্যবহার অতিপ্রচলিত। এছাড়া অ্যান্টিসেপটিক উপাদান রয়েছে তাই মুখের দুর্গন্ধ নাশ করে, গলায় ইনফেকশন, মুখের আলসার সারিয়ে তোলে। লবঙ্গ নিয়মিত খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায় ও পেটের আলসার সারাতে সাহায্য করে।
তবে লবঙ্গের অনেক উপকারিতা থাকলেও রক্তপাতের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে লবঙ্গ তেল নিরাপদ নয়। তাই লবঙ্গ ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত ও স্বল্প পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত।