১২ দিনে পড়ল দিল্লির কৃষক আন্দোলন । লাগাতার আন্দোলনের জেরে বিপর্যস্ত রাজধানীর যান চলাচল ব্যবস্থা। বন্ধ গুরুত্বপূর্ণ রাস্ত। এই প্রসঙ্গে এক অ্যাডভাইজারি জারি করে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, গাজিয়াবাদ – দিল্লি সংযোগকারী ২৪ নম্বর জাতীয় সড়ক কৃষক আন্দোলনের জন্য বন্ধ থাকছে। তার পরিবর্তে মানুষকে দিল্লি পৌঁছানর জন্য অপ্সরা, ভোপুরা বা ডিএনডি দিয়ে ঘুরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছ।
গত বেশ কয়েকদিন ধরেই সিন্ধু সীমান্তে অবস্থান করছেন কৃষকরা। যার জেরে বন্ধ রয়েছে সিন্ধু, অচান্দি, পিয়ো মানিয়ারি, মঙ্গেশ সীমান্ত। তাছাড়ও উভয় দিক থেকে বন্ধ রয়েছে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। মানুষকে লোপপুর, সাফিয়াবাদ, সবোলি সীমান্ত হয়ে চলাচলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যানবাহনের অভিমুখ মুকারবা ও জিটিকে রোডের দিকেও ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে একইভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে টিক্রি, ঝাড়োদা সীমান্ত। ছোট গাড়ি ও দু চাকার যানের জন্য খোলা রয়েছে বদুসরাই সীমান্ত। পাশাপাশি ঝটিকরা সীমান্ত দিয়েও শুধুমাত্র চলাচল করছে দু চাকার যান। অন্যদিকে হরিয়ানার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে ধনসা, দৌরালা, কাপেশহেরা, রাজৌকরির ৮ নম্বর জাতীয় সড়ক, বিজওয়াসন – বাজঘেরা, পলম বিহার এবং দুন্ডাহেরা সীমান্ত।
এছাড়া নয়ডা থেকে দিল্লি যাওয়ার জন্য মানুষকে লিংক রোডে ব্যবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কারণ ওই পথে অবস্থান করছেন কৃষকরা। যার জেরে গৌতম বুদ্ধ গেটের কাছে অবস্থিত চিল্লা সীমান্তে নয়ডা – দিল্লি সংযোগকারী লেনটি বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিবর্তে মানুষকে ডিএনডি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে লাগাতার বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কৃষকরা। ইতিমধ্যেই সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে কৃষকদের। কিন্তু সমাধান সূত্র এখনও অধরা। এক্ষেত্রে আগামী ৯ তারিফ ফের বৈঠক রয়েছে দুই পক্ষের। এখন দেখার সেই বৈঠকে সমস্যার সমাধান হয় কি না।