তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে প্রায় আড়াই দশকের সম্পর্কে ছেদ পড়তে চলেছে। শনিবারই পদ্মশিবিরে যোগ দিতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তার আগেই ছাড়তে পারেন বিধায়ক পদ। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে ‘জেড’ ক্যাটিগরির নিরাপত্তার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এবার জানা গেল, শনিবার বিজেপিতে যোগ দেবেন ঘাসফুলের এই পোড় খাওয়া নেতা।
বিধায়ক পদে ইস্তফা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হতে চলেছে তণমূল-শুভেন্দু রসায়ন। আগামী ১৯ ডিসেম্বর রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ। সেদিন তিনি শুভেন্দু গড়ে যাবেন বলেও শোনা গিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরে অমিত শাহর উপস্থিতিতেই বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন রাখঢাক না করে মুকুল রায় তো বলেই দিয়েছেন, আমার সঙ্গে শুভেন্দুর কথা হয়েছে। দু-চারদিনের মধ্যেই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে শুভেন্দু। প্রসঙ্গত, এদিন সকালে কণিষ্ক পণ্ডা জানিয়েছেন চলতি সপ্তাহেই বিজেপিতে যোগদান করবেন তৃণমূল প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি যোগদানের জল্পনা জোরালো হচ্ছে। দিন কয়েক আগে তিনি রাজ্য মন্ত্রিসভার পদ ছেড়েছেন। এখন তিনি তৃণমূলের বিধায়ক। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেই দলের সঙ্গে ২০ বছরের সম্পর্কের অবসান ঘটবে। মেদিনীপুরের সভা থেকে শুভেন্দু বলেন, আমার উপর সাম্প্রতিক সময়ে ১১ বারের হামলা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করব।
এদিন শুভেন্দু বলেন, অনেকে বলছেন, আমি পদের লোভে এগোচ্ছি না। আমার পদের লোভ নেই। আমি অনেক লড়াইয়ের সাক্ষী। কেউ কেউ আমাকে ব্যক্তি আক্রমণ করেছেন। কয়েক দিন পরে মানুষ গিয়ে যখন ভোটের বোতাম টিপবে, আপনাদের অবস্থা তখন অনিল বসু, লক্ষ্মণ শেঠদের মতো হবে। গণতন্ত্রের মানে ফর দ্য পিপল, অফ দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল। কেন ফর দ্য পার্টি, অফ দ্য পার্টি, বাই দ্য পার্টি হবে। নন্দীগ্রাম আন্দোলন কোনও দল বা ব্যক্তির আন্দোলন ছিল না। ছিল মানুষের আন্দোলন। আমি মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরেও লোকে আমার সভায় আসে। বাংলায় কেউ বহিরাগত নয়। কেউ কেউ বলেছিলেন, পদ দেখিয়ে লোক টানছে। শুভেন্দু অধিকারী পদের লোভ করে না।