বড়দিনের আগে আগুনের গ্রাসে গৃহহীন হয়ে পড়ল প্রায় ৩৫টি পরিবার। মঙ্গলবার সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ বেঙ্গল কেমিক্যালসের কাছে ঝুপড়িতে আগুন লাগে। ইএম বাইপাস সংলগ্ন পূর্বাশা আবাসনের পাশে নেতাজি নগর কলোনিতে বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে কমপক্ষে ৩৫টি ঝুপড়ি। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনে দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন। আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন রাজ্যের ৩ মন্ত্রী। অগ্নিকাণ্ডের জেরে বাইপাসে বেশ কিছুক্ষণের জন্য স্তব্ধ হয়ে পড়ে যান চলাচল।
তবে কী কারণে আগুন লেগেছে তা স্পষ্ট নয়। এদিন প্রথমে আগুনে নেভানোর কাজে হাত লাগান স্থানীয়রাই। আগুনের খবর ছড়াতেই হুড়োহুড়িতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে একে একে দমকলের মোট ১৫টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। আসে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। একের পর এক গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ হয় এদিন। আগে থেকেই এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা দেওয়া হয়। দু’দিকের রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয় ট্রাফিক পুলিশ।
জানা গিয়েছে, দরমার বাড়ির ভেতর প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুনের উৎসস্থলে দমকল প্রথমে পৌঁছতে পারেনি। বেশ কিছুক্ষণ দূর থেকেই জল দিতে হয়েছে। শীতে উত্তুরে হাওয়ায় আরও কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হয় দমকলকর্মীদের। বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে পড়ায় আরও সমস্যায় পড়েন তাঁরা। যদিও দমকলের ইঞ্জিন ও পুলিশ অনেক দেরিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
দমকলমন্ত্রী জানান, এই অগ্নিকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর নেই। ঝুপড়িবাসী সকলকেই নিরাপদে বার করে আনা সম্ভব হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে এখনও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা না গেলেও সরকার পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।
আলো কম থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীদের। আতঙ্কে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন বহু মানুষ। উদ্ধার কাজে নামানো হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও। যদিও ঝুপড়ির অধিকাংশই ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ঝুপড়িবাসীর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।