ক্লিঞ্জিং
টোনিং
ময়েশ্চারাইজিং
তবে এর সাথে আরো দুটি ধাপ আছে যা সাধারণত আমরা উপেক্ষা করি। কিন্তু এই বিষয়গুলিও স্কিনের জন্যে সমানভাবে দরকারি। ধাপ দুটি হল-
সানব্লক
সেরাম
এই দুটি বিষয়ও যদি সমানভাবে ফলো করা যায় তাহলে আপনার স্কিনের জেল্লা দেখে আপনি নিজেই অবাক হবেন। বিশেষ করে শীতের এই রুক্ষ সময়টাতে সেরাম আপনাকে দিবে এক বাড়তি জেল্লা। দিনে দুই বার যথাযথ যত্নই আপনাকে রাখবে এই শীতেও ঝলমলে। তাহলে আসুন এবার দেখি কীভাবে নিবো স্কিনের যত্ন।
সকাল
(১) ক্লিঞ্জিং
মুখের ত্বকের যত্নের প্রথম আর সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন ধাপ হল ক্লিঞ্জিং। এর উপর নির্ভর করে আপনার ত্বকের সুস্থতা। স্কিনের সাথে মানানসই যেকোন উন্নত মানের ফেসওয়াশ দিয়ে ভালো করে মুখটা ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন স্কিন একদম ভালোভাবে পরিষ্কার হয়।
(২) টোনিং
ক্লিনজিং এর পরের ধাপটি হল টোনিং। টোনার স্কিনকে মসৃন আর জেল্লাময় করে তোলে। কটন প্যাড অথবা হাতের তালুতে টোনার ঢেলে পুরো মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে নিতে হবে।
(৩) ময়েশ্চারাইজিং
টোনার লাগানো হয়ে গেলে একটু অপেক্ষা করে তারপর ময়েশ্চারাইজিং লোশন অথবা ক্রিম লাগাতে হবে।
(৮)সানব্লক
এটি স্কিনকে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্নির হাত থেকে রক্ষা করে। স্কিনে বয়সের ছাপ পরতে দেয় না এবং স্কিন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও দিনের বেলায় বাইরে গেলে সব সময় ছাতা ব্যবহারের চেষ্টা করা উচিৎ।
রাতের যত্ন
রাতের স্কিনের যত্ন ও সকালের মতো অনুরুপভাবেই নিতে হবে। তবে রাতে সানব্লক লাগানো লাগবে না আর ময়েশ্চারাইজার লাগানোর আগে সেরাম লাগাতে হবে।অর্থাৎ
ক্লিনজিং
টোনিং
সেরাম
ময়েশ্চারাইজিং
তবে সেরামটাই বা কী?
সেরাম ত্বককে টানটান করে, মসৃণ করে। আনইভেন স্কিন ঠিক করে চেহারার ঝলমলে ভাব ফিরিয়ে আনে। সেরাম মা্র্কেট থেকেও কেনা যায় আবার চাইলে বাড়িতেও তৈরী করে নেয়া যায়। যদি বাড়িতেই বানাতে চান তবে দেখে নিন সেরাম তৈরির রেসিপি।
যা যা লাগবে
দুই চা চামচ গোলাপ জল
আধা চা চামচ গ্লিসারিন
এক চা চামচ ফ্রেশ অ্যালোভেরা জেল
আধা চা চামচ আমন্ড অয়েল অথবা দুই টা ভিটামিন ই ক্যাপ্সুল
সবগুলি উপকরণ একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে একটি ছোট কন্টেইনারে ভরে ফ্রিজে রাখুন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করুন। একবার বানালে মিশ্রণটি এক সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকবে।