‘শুধুমাত্র তৃণমূলের সদস্য হওয়ার সুবাদে কেমন করে তিনি এই ইন্ডাস্ট্রির ফেডারেশনের সভাপতি পদে বহাল থাকতে পারেন?’ স্বরূপ বিশ্বাসের দিকে প্রশ্ন ছুড়লেন অর্পণা সেন। ইন্ডাস্ট্রিতে শাসকের চোখরাঙানি প্রসঙ্গে একাধিক প্রশ্ন রাখলেন ডিরেক্টর্স গিল্ডের কাছে। প্রসঙ্গত, শনিবারই ডিরেক্টর্স গিল্ডের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি পেশ করা হয়েছে। শুধু বিবৃতিই নয়, গিল্ড সেইসঙ্গে প্রকাশ্যে এনেছে ফেডারেশনের তরফ থেকে পাঠানো কিছু সাসপেনশনের চিঠিও। গিল্ডের দাবি, কোনও কলাকুশলীকে আজ পর্যন্ত সাসপেন্ড করা হয়নি, এমনই মন্তব্য করেছিলেন ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস। সেই সঙ্গে তাঁর উপর অভিযোগের ভিত্তিতে চেয়েছিলেন প্রমাণও। এবার সেই প্রমাণই একটি বিবৃতির মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমের সমানে আনল ডিরেক্টর্স গিল্ড। রাত গড়াতেই গিল্ডের কাছে একাধিক প্রশ্ন নিয়ে হাজির হল অপর্ণা সেন। তিনি লেখেন, চিঠিগুলি পড়লাম।
আমার কয়েকটি প্রশ্ন আছে।
প্রথম প্রশ্ন, শ্রী স্বরূপ বিশ্বাস কি সিনেমা তথা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির কোনও টেকনিশিয়ান? যদি না হন, তাহলে শুধুমাত্র তৃণমূলের সদস্য হওয়ার সুবাদে কেমন করে তিনি এই ইন্ডাস্ট্রির ফেডারেশনের সভাপতি পদে বহাল থাকতে পারেন? শুনলাম তাঁর নাকি সহকারী পরিচালকের কার্ড আছে। কিন্তু আমি যতদূর জানি, অন্তত দুটি ছবিতে অবসার্ভারের কাজ না করলে সহকারী পরিচালকের কার্ড পাওয়া যায় না। দ্বিতীয় প্রশ্ন, তিনি যে দুটি ছবিতে অবসার্ভার ছিলেন, সেই দুটি ছবির নাম কী? তৃতীয় প্রশ্ন, সহকারী পরিচালকের কার্ড হাতে পাওয়ার পর থেকে তিনি আজ পর্যন্ত ক’টি ছবিতে কাজ করেছেন, এবং ছবিগুলির নাম কী? শুনেছি সহকারী পরিচালকের কার্ড হাতে পাওয়ার ১৩ মাসের মধ্যে কোনও ছবিতে সহকারী পদে কাজ না করলে, সহকারী কার্ডটি খারিজ হয়ে যায়। একথা যদি সত্যি হয়, এবং উনি যদি ১৩ নাসের মধ্যে কোনও ছবিতে কাজ না করে থাকেন, ওঁর কার্ড কি খারিজ করা হয়েছে? এই ইন্ডাস্ট্রির সর্বাধিক বয়্যেজেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে আমি অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর্স গিল্ডের কাছে নিশ্চয়ই এই ক’টি প্রশ্নের উত্তর আশা করতে পারি?
কাউকে কোনও দোষারোপ করা আমার উদ্দেশ্য নয়। যে প্রশ্নগুলি আমার মনে এসেছে, আমি তার সদুত্তর চাইছি মাত্র।’