আজ মেদিনীপুর কলেজের মাঠে জনসভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারীকে দলের মধ্যে টানাপোড়েনের পরিস্থিতি। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব ধরেই নিচ্ছে আর দলে থাকবেন না নন্দীগ্রাম বিধায়ক। তাই তাঁকে ছাড়াই একুশের ভোটের ঘুঁটি সাজানোর কাজ এদিন থেকেই শুরু করতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই শুভেন্দু অধিকারীর প্রভাব থাকা মেদিনীপুর জেলা থেকেই নিজের রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্বে ইস্তফা দিলেও দল বা বিধায়ক পদ ছাড়েননি। এমন পরিস্থিতিতে সভা থেকেই তৃণমূল নেত্রী তাঁকে বা তাঁর অনুগামীদের উদ্দেশ্য করে নতুন করে কিছু বলেন কিনা, তা ঘিরেও তীব্র উত্সাহ তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ, গত কয়েক মাস ধরে শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠরা রাজ্যজুড়ে ‘আমরা দাদার অনুগামী’ বলে হোডিং লাগিয়ে তৃণমূলের অন্দরে অস্বস্তির বাতাবরণ তৈরি করেছে।
অধিকারীদের জেলা বলে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ছিল ১২। কিন্তু এগরার বিধায়ক সমরেশ দাস করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন। শুভেন্দু নিজে নন্দীগ্রামের বিধায়ক। বাকি ১০ জন বিধায়কের সবাই তৃণমূল সুপ্রিমোর সভায় শেষ পর্যন্ত থাকেন কিনা, সে দিকে নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। শুভেন্দুর পিতা শিশির অধিকারী আবার দলের পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা তৃণমূলের সভাপতি। দলনেত্রী তিন জেলার সভাপতিকেই সভায় থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু শিশির শারীরিক অসুস্থতার জন্য সভায় থাকতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন দলকে। শুভেন্দু মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর পূর্ব মেদিনীপুরে কড়া বার্তা পাঠিয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠদের। শিশির অধিকারীকে দিয়েই নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের সভাপতি মেঘনাদ পাল, ভগবানপুর-২ ব্লক সভাপতি মানব পড়ুয়া, নন্দকুমার ব্লকের সুকুমার বেড়া, কাঁথি-১ ও ২ উত্তম বারিক ও মৃন্ময় পন্ডাকে সরিয়ে নতুন সভাপতি ঘোষণা করা হয়েছে। এই অপসারিত ব্লক সভাপতিরা মমতার সভায় থাকবেন কিনা, তা নিয়েও কোনও নিশ্চয়তা নেই। অন্যদিকে সোমবারের এই সভার মঞ্চে বক্তার তালিকায় রয়েছেন ছত্রধর মাহাতো। শুভেন্দুর জবাব হিসেবে জঙ্গলমহলের জেলাগুলোতে তাঁকেই নিজেদের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবে তৃণমূল।